ব্যবসার গতি ও বেচাকেনার সঙ্গে লাভও বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। শত্রু সংখ্যা বাড়বে। ... বিশদ
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৫৪ সালেও এই জাতীয় উদ্যানে বারোশিংহা হরিণের অস্তিত্ব ছিল। কিন্তু চোরাশিকারীদের দাপটে জলদাপাড়ায় সেই সময় বারোশিংহাদের অবলুপ্তি ঘটে যায়। এরপর ২০০৮ সালে লখনউয়ের চিড়িয়াখানা থেকে দু’টি পুরুষ ও চারটি স্ত্রী বারোশিংহা হরিণ আনা হয় জলদাপাড়ায়। জাতীয় উদ্যানের জঙ্গলের ভিতরে বিশাল ঘেরাটোপের মধ্যে রাখা হয় বারোশিংহাদের। উদ্দেশ্য ছিল জলদাপাড়ার বারোশিংহাদের গৌরব ফিরিয়ে আনা। বনদপ্তরের সঠিক প্রজনন ব্যবস্থায় বাড়তে থাকে বারোশিংহাদের সংখ্যা। কিন্তু একের পর এক বিষধর সাপের ছোবলে মারা যেতে থাকে বারোশিংহারা। এরপর ২০১৬ সালে জাতীয় উদ্যানে ছড়িয়ে পড়ে গবাদি পশুদের খুড়াই রোগ। সেই রোগে বাকি বারোশিংহারাও মারা যায়। সেই থেকে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে লুপ্ত হয়ে যায় বারোশিংহাদের বংশকুল। রাজ্যের বন্যপ্রাণ শাখার অতিরিক্ত প্রধান মুখ্য বনপাল উজ্জ্বল ঘোষ বলেন, লখনউ থেকে বারোশিংহা হরিণদের আনার পরিকল্পনা ভুল ছিল। এই জাতীয় উদ্যানে বারোশিংহা হরিণ আনার কোনও পরিকল্পনা আর নেই বর্তমানে। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বারোশিংহা হরিণ মূলত হার্ড গ্রাউন্ড (শক্ত মাটি) পরিবেশে থাকতে স্বচ্ছন্দ্যবোধ করে। কিন্তু জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের প্রাকৃতিক পরিবেশ সফট গ্রাউন্ডের (নরম মাটির)। জলদাপাড়ার পরিবেশে টিকতে পারেনি বারোশিংহারা। ফলে এই পরিকল্পনায় যে গলদ ছিল কার্যত বনদপ্তর তা স্বীকারও করে নিয়েছে। সব মিলিয়ে বাহারি রংয়ের বারোশিংহা হরিণের আর দেখা মিলবে না দেশের এই জাতীয় উদ্যানে।