রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
প্রতিবছর অন্যত্র ভোট নিতে গিয়ে কর্মীরা আগের দিন রাতের খাবার ও ভোট চলাকালীন দিনের খাবারের ব্যবস্থা করতে সমস্যায় পড়েন। এবছর যাতে ভোট কর্মীদের সেই সমস্যায় না পড়তে হয়, সেদিকে বিশেষ নজর দিয়ে ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের খাবার বিলির দায়িত্ব দিয়েছে। নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে খাবারের তালিকা সহ দাম। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের দিয়ে রান্না করে অথবা পার্সেলে খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে।
জেলা শাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, ভোট-কর্মীদের সুবিধার্থে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের খাবারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দাম ও মেনু ঠিক করে পাঠানো হবে। তালিকায় থাকা যে কোনও খাবার নির্ধারিত দামে কিনে খেতে পারবেন তাঁরা।
প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসাররা বাড়ি থেকে ৬০-৭০ কিমি দূরে ভোট নিতে যান। ভোটের আগের দিন বিকেলে বা সন্ধের মধ্যে ইভিএম নিয়ে বুথে যেতে হয় তাঁদের। নতুন জায়গায় রাতের খাবারের ব্যবস্থা করতে কালঘাম ছুটে যায়। অনেক বুথের আশেপাশে হোটেল তো দূর, দোকানও থাকে না। ভোট কর্মীরা বাড়তি খরচ করে বুথের পাশে গ্রামের মহিলাদের দিয়ে রান্না করিয়ে নেন। সেই সমস্যা মেটাতে এবার ভোট কেন্দ্রে খাবার পৌঁছে দিতে প্রশাসন উদ্যোগী হয়েছে।
প্রশাসন খাবারের তালিকা ও দাম নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। ডাল, সবজি, মাছের ঝোল দিয়ে ভাতের থালি ৯০ টাকা। ডিমের ঝোল দিয়ে ৭০ টাকা। মুরগির মাংস দিয়ে ভাত ১২০ টাকা। ডাল, সবজি, আলু ভাজা দিয়ে ভাত ৬০ টাকা। এছাড়াও মেনুতে থাকছে পরোটা, আলুর দম, রুটি, তরকা, চপ, মুড়ি মশলা। আগের দিনের রাতের খাবারের পাশাপাশি ভোটের দিন সকালের চা থেকে শুরু করে দিনের খাবারের চিন্তা থেকে আপাতত কর্মীদের দূরে রাখতে চাইছে প্রশাসন।