রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
জলপাইগুড়ি আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তর সূত্রে খবর, এবারের লোকসভা নির্বাচনে শুধু ভোট পোলিংয়ের কাজে ব্যবহার করার জন্য ১৩৪৮টি বাস ও ছোট যাত্রীবাহী গাড়ি নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের জলপাইগুড়ি ডিপোর ৩০টি বাস আছে। এছাড়াও পুলিসের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য পৃথকভাবে গাড়ি নেওয়া হয়েছে। সেই সংখ্যাও এক হাজারের কাছাকাছি। স্বাভাবিকভাবে জলপাইগুড়ি থেকে বিভিন্ন রুটের বাস প্রায় উধাও।
অন্যদিকে, এনবিএসটিসি’র জলপাইগুড়ি ডিপো সূত্রে জানা গিয়েছে, বাস কম থাকায় সাময়িকভাবে বালুরঘাট, তপন, ফরাক্কা, মালদহ সহ বেশ কয়েকটি লং রুটের বাস বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি জলপাইগুড়ি থেকে শিলিগুড়ি, মালবাজার, হলদিবাড়ির মতো রুটে বাসের সংখ্যা কমানো হয়েছে। একই পরিস্থিতি বেসরকারি বাসের ক্ষেত্রেও।
নর্থবেঙ্গল মোটর ট্রান্সপোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিমল গুহ বলেন, জলপাইগুড়িতে আমাদের সংগঠন সহ মোট চারটি সংগঠন রয়েছে। অধিকাংশ বাস, মিনিবাস ও ম্যাক্সিট্যাক্সি নেওয়া হয়েছে। গাড়িগুলি জেলার বিভিন্ন প্রান্তের ডিসিআরসিতে পাঠানো হয়েছে। নির্বাচনের জন্য তিনশোর বেশি গাড়ি নেওয়া হয়েছে। ফলে যে ক’টি বাস রয়েছে, সেগুলি স্ট্যান্ড থেকেই ভরে যাচ্ছে।
নির্বাচনের জন্য বাস নেওয়ায় শহরের স্পোর্টস কমপ্লেক্সের পাশে থাকা মিনিবাস স্ট্যান্ডও বুধবার সকাল থেকে ছিল ফাঁকা। যাত্রীরা বাস ধরার জন্য জাতীয় সড়কের পাহাড়পুর মোড় অথবা গোশালা মোড়ে যান। সকালে ধূপগুড়ি থেকে বাসে চেপে গোশালা মোড়ে নেমে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসক দেখান ধূপগুড়ির বাসিন্দা ললিত রায়। ডাক্তার দেখিয়ে দুপুরে বাস ধরার জন্য ফের গোশালা মোড়ে আসেন। তিনি বলেন, বাস কম থাকায় কষ্ট করে এসেছি। ঘণ্টা খানেক অপেক্ষা করেও বাস পাচ্ছি না। যে বাসই শিলিগুড়ির দিক থেকে আসছে, তাতে দাঁড়ানোর জায়গা নেই। একই কথা জানান আলিপুরদুয়ারে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করা মিনতি সরকার। তিনি বলেন, স্ট্যান্ডে গিয়ে বাস পাইনি। শিলিগুড়ি থেকে আসা বাস ধরব বলে গোশালা মোড়ে এসে একঘণ্টা থেকে দাঁড়িয়ে থেকে অবশেষে ভিড় বাসে চাপতে হয়েছে।