রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
ত্রিহানা থেকে বাগডোগরার উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে হুলিয়া নদী। ত্রিহানা থেকে কমলপুর পর্যন্ত নদীর জল কিছুটা স্বচ্ছ থাকলেও, বাগডোগরায় ঢুকতেই নদীটি সংকীর্ণ হতে শুরু করেছে। নদীবক্ষ বর্জ্যে ভরে গিয়েছে। যা অবস্থা তাতে অচিরেই নদীটির অস্তিত্ব মুছে যাবে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দা সহ পরিবেশপ্রেমীরা। আর ভোটের ময়দানে বাগডোগরাবাসী ইস্যু করেছেন হুলিয়া নদীকে।
বিভূতি বিশ্বাস নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, প্রায় ২০ বছর আগে হুলিয়া নদীর জল স্বচ্ছ ছিল। জনবসতি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নালায় পরিণত হয়েছে নদী। কোথাও নদীর সঙ্গে সরাসরি নালা যোগ করে দেওয়া হয়েছে। কোথাওবা নদীর পাশে তৈরি হয়েছে খাটাল। ভোটপ্রচারে প্রার্থীরা এখনও এলাকায় আসেননি। তাঁরা এলে নদী সংস্কারের দাবি জানাব আমরা।
পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের দার্জিলিং জেলা সভাপতি গোপাল দে জানান, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার অন্যতম সম্পদ নদী। তাই নদীকে দূষণমুক্ত রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব। নদীতে কোনও বর্জ্য পদার্থ ফেলা যাবে না, এমনকী পুজোর ফুল, বেলপাতাও নয়। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের ভাবনাচিন্তা করা উচিত। বিজ্ঞান মঞ্চের বাগডোগরার আহ্বায়ক দেবাশিস দত্ত বলেন, নদীটি নিয়ে আমরা সমীক্ষা চালিয়েছি। দেখেছি, এই নদীর ধারে বিভিন্ন ভেষজ গাছ রয়েছে। সমীক্ষায় ধরা পড়েছে, মূলত প্লাস্টিক বর্জ্য, ভাসমান থার্মোকল জাতীয় বর্জ্য, কাচের বোতল সহ একাধিক অপচনশীল বর্জ্য পদার্থ রয়েছে। এই নদীতে জল খেতে বিভিন্ন ধরনের পশু-পাখি আসে। তাদের যেমন ক্ষতি হচ্ছে, তেমনই নদীর কিছু মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। মানুষকে সচেতন হতে হবে। এ নিয়ে বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সদস্য সজলকান্তি সরকার বলেন, বর্তমানে হুলিয়া নদীর যা পরিস্থিতি তাতে নদী বলে মনে হয় না। প্রশাসনকে বহুবার জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। নির্বাচনে আমরা জয়ী হলে নদী সংস্কারের চেষ্টা করব। অন্যদিকে, লোয়ার বাগডোগরা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূলের বিশ্বজিৎ ঘোষ জানান, সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে, যাতে নদীতে কেউ বর্জ্য বা আবর্জনা না ফেলে।