সংবাদদাতা, হবিবপুর: ১০০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মা চণ্ডী মন্দির। ঐতিহ্য মেনে বৈশাখ মাসের প্রত্যেক মঙ্গলবার মা’কে হরিশ মঙ্গলচণ্ডী রূপে পুজো করা হয়। মঙ্গলবার ধুমধাম করে শুরু হল মা হরিশ মঙ্গলচণ্ডীর পুজো। হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচণ্ডী এলাকায় এই পুজোকে কেন্দ্র করে অগণিত ভক্তের সমাগম হয়। মন্দিরের পুরোহিত রাজু দুবে বলেন, বাবা ঠাকুরদার মুখে শুনেছি, বুলবুলচণ্ডী এলাকায় বহু বছর আগে জমিদারবাবু রাজেন্দ্র নারায়ণ রায়ের স্ত্রী ছিলেন গিরিজা সুন্দরী দেবী। প্রথম তাঁরই হাত ধরে শুরু হয়েছিল মায়ের পুজো। গিরিজা সুন্দরী দেবীকে রানি মা বলে ডাকতেন বাসিন্দারা। বর্তমান মায়ের মন্দিরের পিছনে ৫০০ মিটার দূরে একটি পুকুর রয়েছে। সেই পুকুরে রানি মা নিত্যদিন দুধের অর্ঘ্য অর্পণ করে তারপর স্নান করতেন। একদিন রানি মা স্বপ্নাদেশ পান পুকুরেই রয়েছে চণ্ডী মায়ের পাথরের মূর্তি। এরপর পুকুর খনন করে মা চণ্ডীর পাথরের মূর্তি পাওয়া যায়, যা আজও বর্তমান। তারপর থেকেই নিষ্ঠা সহকারে মন্দির নির্মাণ করে মায়ের পুজো অর্চনা শুরু করেন রানি মা।
পুরোহিত আরও বলেন, চণ্ডী হল আদি দেবতা, যে কোনও পুজোতেই চণ্ডী পাঠ হয়ে থাকে। বৈশাখ মাসে মা হরিশ মঙ্গলচণ্ডী, জৈষ্ঠ মাসে জয় মঙ্গলচণ্ডী রূপে পূজিতা হন মা। তাছাড়াও রাম নবমীতে মাকে বাসন্তী পুজোর আদলে, যজ্ঞ করে অন্নভোগ নিবেদন করা হয়। দুর্গাপুজোয় মা দুর্গা ও কালীপুজোয় মা কালী রূপেও মা পূজিতা হন।
প্রিয়াঙ্কা বিশ্বাস নামে এক বধূ বলেন, এই মন্দিরে প্রতি বছর বৈশাখ মাসের মঙ্গলবার মঙ্গলচণ্ডী পুজো করতে আসি। প্রচুর লোকের সমাগম হয়। মা খুব জাগ্রত।
নিজস্ব চিত্র