বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
গ্রামবাসীরা বলেন, ওই বাঁধ ভেঙে গেলে গোটা দাসপাড়া ভেসে যাবে। আমরা আতঙ্কের মধ্যে আছি। বলরামপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুচিত্র দাস বলেন, বাঁধের ১০০ মিটারের মতো অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিষয়টি আমরা ব্লক প্রশাসন এবং সেচদপ্তরকে জানিয়েছি। আমরা নিজেরাও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বাঁধটি ভেঙে গেলে দাসপাড়া সহ নোটাফেলা, শোলধুবড়ি, ছাট নোটাফেলা, শালমারা গ্রামে জল ঢুকে যাবে। কয়েক হাজার মানুষকে বিপাকে পড়তে হবে।
অপরদিকে, গত ৪৮ ঘণ্টার বৃষ্টিতে তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের বক্সিরহাট থানার মহিষকুচি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের শালডাঙায় রায়ডাক নদীর জল ঢুকে যায়। বেশকিছু বাড়ি এখনও জলের তলায় আছে। কেউ কেউ নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র রয়েছেন। সেচদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, তুফানগঞ্জ মহকুমায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৫.২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। নদীগুলির জলস্তর বেড়ে যাওয়ার জন্য দপ্তরের কর্মীরা বাঁধগুলির উপর নজর রাখছেন। তুফানগঞ্জ-২’র বিডিও প্রসেনজিৎ কুণ্ডু বলেন, ইতিমধ্যেই আমি বড় লাউকুঠি সহ অন্যান্য জায়গায় গিয়ে পরিস্থিতি দেখে এসেছি। তুফানগঞ্জ-১’র বিডিও দেবর্ষি বন্দোপাধ্যায় বলেন, কোথায় কোথায় জল ঢুকেছে বা বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার খোঁজ খবর নিচ্ছি। বৃষ্টির জেরে তুফানগঞ্জ শহরের মধ্যে থাকা ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চর এলাকায় মরা রায়ডাক নদীর জল ঢুকে যায়। এতে ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটি পরিবার জলবন্দি হয়ে থাকে। তবে পুরসভা এলাকা থেকে জল বের করার ব্যবস্থা করে। তুফানগঞ্জ পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান ইন্দ্রজিৎ ধর বলেন, নিকাশি নালা এবং কালভার্টগুলির নিচের অংশ দ্রুততার সঙ্গে সাফাই করার পরেই জল নেমে গিয়েছে।
এদিকে আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম ব্লকের সঙ্কোশ নদীর জল মঙ্গলবার রাত থেকেই বৃদ্ধি পায়। নদীর পাশে থাকা অসংরক্ষিত জায়গার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তবে কুমারগ্রামের বিডিও মিহির কর্মকার মঙ্গলবার রাত থেকেই ওই জায়গাগুলিতে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে বাসিন্দাদের সবরকম সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। বিডিও বলেন, বিত্তিবাড়ি সহ মধ্য হলদিবাড়ি এবং লালচাঁদপুরে গিয়েছি। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রয়োজনে তাঁদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।