নিজস্ব প্রতিনিধি, বালুরঘাট: প্রায় চার দশক রাজনীতি করার অভিজ্ঞতা। সেটাকে কাজে লাগিয়ে ২০০৯ সালে বামেদের কাছে পরাজিত হওয়ার দুঃখ ভুলতে চান বালুরঘাট লোকসভা আসনের তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অনেক উত্থান-পতন হয়েছে। হরিরামপুর বিধানসভা থেকে জয়ী হয়ে রাজ্যের মন্ত্রী হয়েছেন। কিন্তু এই আসন থেকে জয়ী হয়ে দিল্লির দরবারে পৌঁছনো তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি। তুলনায় অনেক নবীন বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার তাঁর মূল প্রতিপক্ষ। সুকান্ত হেভিওয়েট প্রার্থী হলেও এই আসন থেকে জয়ী হয়ে পুরনো দুঃখ ভুলতে চান বিপ্লব। তাঁর দাবি, নিচুতলা সংগঠনের জোর ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবার পার হয়ে যাবেন। তবে লড়াই সহজ হবে না। বিপ্লব মিত্র বলেন, এর আগে ২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলাম। দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম ভোটে পরাজিত হই। আমাকে গণনা কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। বামেদের সঙ্গে মাত্র চার হাজার ১০৫ ভোটের ব্যবধান ছিল। তারই শোধ নিয়েছিলাম ২০১৪ লোকসভায় তৃণমূল প্রার্থীকে জিতিয়ে। এবার সব দুঃখ ভুলতে চাই। প্রসঙ্গত, সেবার অর্পিতা ঘোষ তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু পরের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের কাছে পরাস্ত হন অর্পিতা।
বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, রাজনীতির নাম করে জনগণের অধিকার হরণের রাজনীতি করেছেন বিপ্লব মিত্র। সুকান্তদা দলের রাজ্য সভাপতি। সকলের জন্য কাজ করছেন। জেলায় বাম বিরোধী মুখ হিসাবে পরিচিত ছিলেন বিপ্লব। বামের শক্ত ঘাঁটি গঙ্গারামপুরের মতো জায়গায় কংগ্রেসি রাজনীতি করে গিয়েছেন। পরবর্তীতে জেলায় তৃণমূলকে শক্ত ভিতে দাঁড় করানোর পিছনেও তাঁর যথেষ্ট অবদান রয়েছে। জেলার প্রায় সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত, পুরসভার আসন, চারটি বিধানসভা দখলে থাকলেও প্রচারে খামতি দেননি বিপ্লব। এবার আসনটি দলনেত্রীকে উপহার দিতে মরিয়া তিনি।