বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
রূপাহার এলাকায় যেখানে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেখানকার জাতীয় সড়কের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। বিগত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে রাস্তায় বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। সেকারণেই সম্ভবত বাসটির চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন এবং বাসটি রাস্তার পাশের নয়ানজুলিতে উল্টে যায়। দুর্ঘটনার পর ওই এলাকায় গিয়ে রায়গঞ্জ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান অরিন্দম সরকার বলেন, কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সারাবছরই বেহাল অবস্থায় থাকে। সেই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে। ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অব ইন্ডিয়ার উদাসীনতার কারণে বারবার এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। অবিলম্বে এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের নজর দেওয়া উচিত। টোল প্লাজায় ট্যাক্স নেওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ যতটা সক্রিয়, রাস্তা সংস্কারের ব্যাপারে তারা ততটাই উদাসীন। রূপাহার থেকে পানিশালা পর্যন্ত যে জাতীয় সড়কের বাইপাস নির্মাণের কাজ হচ্ছে তা অত্যন্ত ঢিমেতালে হওয়ায় সমস্যা আরও বেড়েছে। রূপাহারের বাসিন্দা প্রণব রায় বলেন, বাইপাস নির্মাণের জন্য পাশ থেকে মাটি কেটে রাস্তা উঁচু করা হয়েছিল। ফলে সেখানে নয়ানজুলি তৈরি হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত সেই নয়ানজুলিতেই বাস উল্টে ছ’জনের মৃত্যু হল।
উল্লেখ্য, রায়গঞ্জ থেকে ডালখোলা পর্যন্ত ৪৫ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ, বাইপাস নির্মাণ ও টোল প্লাজা তৈরির জন্য ১০২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা এখনও শেষ হয়নি। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অব ইন্ডিয়ার মালদহ ডিভিশনের বাস্তুকার সাদাব আলম। তিনি বলেন, দ্রুততার সঙ্গে রাস্তা সম্প্রসারণ ও বাইপাস নির্মাণের কাজ চলছে। কিছু জায়গায় জমি অধিগ্রহণ নিয়ে সমস্যা ছিল। আমরা সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে সঠিক সময়ে জমি অধিগ্রহণ করে দিতে পারিনি। সে কারণে কিছুটা দেরি হচ্ছে। তবে আশা করছি, খুব শীঘ্রই এই কাজ শেষ হয়ে যাবে। অন্যদিকে, দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পরিযায়ী শ্রমিক বোঝাই ওই বাসের চালক চালু থাকা দু’টি সার্ভিস রোডের মধ্যে ভুল পথ বেছে নেওয়াতেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিজস্ব চিত্র