বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
তৃণমূল কংগ্রেসের শীতলকুচি ব্লক সভাপতি তপন গুহ বলেন, সন্ধ্যা হলেই দুষ্কৃতীরা বিভিন্ন জায়গায় বোমা ফাটাচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে। এসব ঘটনার সঙ্গে বিজেপি জড়িত। আমরা পুলিসকে বলেছি, রং না দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে। দু-একজন দুষ্কৃতী ধরা পড়লেই গোটা চক্র ধরা পড়বে।
বিজেপির সর্বভারতীয় এসসি মোর্চার সহ সভাপতি হেমচন্দ্র বর্মন বলেন, ফলাফল ঘোষণার দিন থেকে ধারাবাহিকভাবে তৃণমূলের লোকজন এলাকায় বাড়ি, দোকান, ভাঙচুর করছে, লুটপাট করছে। পুলিসকে জানানো হলেও তারা পদক্ষেপ করছে না।
মাথাভাঙার অতিরিক্ত পুলিস সুপার সিদ্ধার্থ দর্জি বলেন, শীতলকুচির পরিবেশ এখন শান্ত। রাতে কোথাও বোমাবাজির খবর পেলে পুলিস যাচ্ছে। আমরা কড়া নজর রাখছি।
প্রসঙ্গত, ২ মে ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকে দুষ্কৃতী হামলায় বিভিন্ন এলাকা উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। বিজেপির অভিযোগ, তাদের কর্মীদের লক্ষ্য করে বোমা ও গুলি চালানো হচ্ছে। সম্প্রতি শীতলকুচির ছোট শালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের সর্বেশ্বর জয়দুয়ারে দু’পক্ষের সংঘর্ষের মাঝে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় এক যুবকের। যদিও তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির লোকজন বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়েছে। গোসাঁইরহাটে ওরা একটি অটো জ্বালিয়ে দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লালবাজার, গোলেনাওহাটি, ভাঐরথানা, গোসাঁইরহাট, খলিসামারি, বড়কৈমারি, জোরপাটকি, শিকারপুর, নয়ারহাট, কেদারহাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে সন্ধ্যা হলেই শুরু হচ্ছে বোমাবাজি। স্থানীয়দের দাবি, বাইরে থেকে বোমা বাঁধার কারিগর এনে কিছু কিছু এলাকায় বাড়িতেই বোমা বানানো হচ্ছে। পুলিস দুষ্কৃতীদের না ধরায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটছেই।