বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে গ্রামেরই এক বাসিন্দা আমবাগানে গিয়ে ঝুলন্ত জোড়া দেহ দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের জানান। খবর পেয়ে মৃতদের পরিবারের সদস্যরাও চলে আসেন। তাঁরাই মৃতদেহ শনাক্ত করেন। খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। ঘটনাস্থলে তদন্তে আসেন জেলা পুলিসের পদস্থ কর্তারা। পুলিস মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে পুলিস জানতে পেরেছে, সম্প্রতি ছোটবেলার বন্ধু চৈতন্যের সঙ্গে মনোজও মোবাইল গেমের প্রতি চরম আসক্ত হয়ে পড়েন। দু’জনই কাজ ও পড়াশোনা শিকেয় তুলে মোবাইলে গেম খেলতেন প্রায় সারাদিন ধরে। এ নিয়ে তাঁদের পরিবারে অশান্তি চরমে উঠত। সে কারণেই তাঁরা অভিমানে আত্মহত্যা করেছেন কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। মনোজের বাবা বলেন, ছোট ছেলে বরাবরই অত্যন্ত মেধাবী ছিল। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় নজরকাড়া ফল করেছিল। কিন্তু, লকডাউন পরবর্তী সময়ে ক্রমশ মোবাইল ফোন নিয়েই বেশিরভাগ সময় কাটাত। সেসব নিয়ে বাড়িতে প্রায়ই অশান্তি হতো। কিন্তু, সেজন্য মনোজের মতো মেধাবী ছেলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেবে, সেটা মানতে পারছি না। পুলিস তদন্ত করে মৃত্যুর কারণ খুঁজে বের করুক, সেটাই চাই।
চৈতন্যের পরিবারের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, পড়াশোনায় ঢিলে দেওয়ার পাশাপাশি সে ক্রমশ মোবাইলে গেম নিয়ে মেতে ওঠে। মনোজের সঙ্গে গেম খেলার সূত্রেই তাদের ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়ে। কিন্তু, মৃত্যুর কারণ নিয়ে এখনও ধন্দে চৈতন্যের পরিবারও।
মোথাবাড়ি থানার আইসি মৃণাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই দুই তরুণ আত্মহত্যাই করেছেন। পুলিস তদন্ত চালাচ্ছে। মোবাইলে গেম খেলার কারণে পারিবারিক অশান্তির কারণেই তাঁরা আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃত এক ছাত্রের শোকাহত পরিবার। -নিজস্ব চিত্র