বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
জেলা নির্বাচন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বুথেই থাকা হ্যান্ড স্যানিটাইজার হাতে মেখে ভোটাররা গ্লাভসটি পরে ইভিএম মেশিনের বোতাম টিপে ভোট দেবেন। ভোট দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে আসার পর ওই গ্লাভসটি বুথের বাইরে রাখা নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলে দেবেন। কোভিড পরিস্থিতির কারণে এবার ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে প্রবেশের আগে প্রত্যেক ভোটারকে থার্মাল চেকিং করেই বুথে প্রবেশের ছাড়পত্র দেওয়া হবে। লাইনে দাঁড়ানো ভোটারদের এ সমস্ত কাজ করার জন্য প্রত্যেক বুথে একজন করে আশাকর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি বা পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীকে নিয়োগ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সেই কাজ শুরু হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলাশাসক লক্ষ্মী ভব্যা তন্নেরু বলেন, জেলার প্রত্যেক ভোটার একহাতে গ্লাভস পরে ভোট দিতে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ঢুকবেন। ওই গ্লাভস পরেই ইভিএমের বোতাম টিপে ভোট দিতে হবে। আমরা গ্লাভসের রিক্যুইজিশন রাজ্যে পাঠিয়েছি। এরমধ্যেই ওসব চলে আসবে। এছাড়াও আমরা বুথের বাইরে একটি হলুদ রঙের ডাস্টবিন রাখব। ভোটার ভোট দিয়ে বাইরে এসে ওই নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে গ্লাভসটি ফেলে দেবেন। যেহেতু ভোটারদের বাঁ হাতের আঙুলে কালির চিহ্ন দেওয়া হবে, তাই ওই হাতে গ্লাভস দেওয়া হবে না। বোতাম টেপার জন্য ডান হাতের গ্লাভস দেওয়া হবে। গ্লাভস বিতরণের জন্য জেলার প্রত্যেক বুথে একজন করে আশাকর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বা পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীকে নিয়োগ করা হবে। তাঁরাই লক্ষ্য রাখবেন যাতে সকল ভোটার মাস্ক পরে বুথে আসেন। যাঁরা মাস্ক না পরে আসবেন তাঁদের মাস্ক দেওয়া হবে। ওই কর্মীরাই থার্মাল গান দিয়ে ভোটারদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করবেন। যদি কোনও ভোটারের দেহের তাপমাত্রা বেশি থাকে তাহলে তাঁকে একটি করে টোকেন দেওয়া হবে। তাঁরা ভোটগ্রহণের শেষ পর্বে এসে ভোট দিতে পারবেন।
কোচবিহার জেলায় কিছুদিন ধরেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। গত সপ্তাহে বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়েছে। জেলা প্রশাসন আগে থেকেই নির্বাচন সংক্রান্ত প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল। এবার সেই প্রস্তুতি তুঙ্গে উঠেছে। যেহেতু কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে এবারের ভোটগ্রহণ হবে তাই সবরকমের সর্তকতাই অবলম্বন করা হচ্ছে। এ বছরের ১৫ জানুয়ারি প্রকাশিত ভোটার তালিকা অনুসারে কোচবিহার জেলায় মোট ভোটার ২৩ লক্ষ ৩৯ হাজার ১৭১ জন। এই বিপুল সংখ্যক ভোটারের ভোট দেওয়ার জন্য জেলায় মোট ৩২২৯টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থাকছে। এই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিতেই গ্লাভস দেওয়া হবে। শুধুমাত্র গ্লাভস বা মাস্কই নয়, ভোটগ্রহণের জন্য আরও কিছু কোভিড সরঞ্জাম ভোট কর্মীদের কাছে থাকবে। ভোটকর্মীদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বোতল থাকবে। এছাড়াও ভোটারদের জন্য দু’লিটারের একটি করে স্যানিটাইজার জার প্রতিটি বুথে দেওয়া হবে। কোনও ভোটারের দেহের তাপমাত্রা বেশি থাকলে তাঁর ভোট গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ভোটকর্মী পিপিই কিট পরে নেবেন। তাই বুথে পিপিই কিটও দেওয়া হবে।