বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
জানা গিয়েছে, গত পুরভোটের আগে যখন রায়গঞ্জ পুরসভায় প্রশাসক বোর্ড ক্ষমতায় ছিল, সেই সময় আমল আচার্যের নেতৃত্বে বোর্ড ওই প্রকল্প তৈরি করেছিল। ২৩ কোটি টাকার প্রকল্পের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল রাজ্য সরকারের কাছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ১১ কোটি টাকা বরাদ্দের অনুমোদনও পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু তার পর বছর তিনেক কেটে গেলেও সেই টাকা এখনও হাতে পায়নি রায়গঞ্জ পুরসভা। পুরমন্ত্রীর কাছে সেই টাকা চেয়েই তদ্বির করেছেন চেয়ারম্যান।
পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, রায়গঞ্জ পুর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাড়ি বাড়ি পরিশ্রুত পানীয় জল দেওয়ার ব্যাপারে আমরা কাজ অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে গিয়েছি। পাইপলাইন পাতাও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও বাড়ি বাড়ি জলের সংযোগ দেওয়া হয়নি। সেই কাজ করতে আরও টাকার প্রয়োজন। পুরমন্ত্রী আমাদের সেই অর্থ অতি দ্রুত রিলিজ করে দেওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন। অন্যদিকে, পুর এলাকায় হাউসিং ফর অল প্রকল্পে বরাদ্দকৃত ঘর নির্মাণের ক্ষেত্রে উপভোক্তাদের ৩০ হাজার টাকা করে দিতে পেরেছি। আমরা চাইছি, সেইসব উপভোক্তাদের হাতে আরও কিছু টাকা দ্রুত তুলে দিতে। পুরমন্ত্রী এব্যাপারেও দ্রুত অর্থ বরাদ্দের বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বছর কয়েক আগে আরবান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট স্কিম ফর স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম টাউন প্রকল্পের আওতায় রায়গঞ্জ পুরসভা বাড়ি বাড়ি পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পের কাজ শুরু করে। শহরকে চারটি জোনে ভাগ করে ওভারহেড জলাধার তৈরি, পাম্প স্টেশন তৈরি, পাইপলাইন বসানো সহ আনুষঙ্গিক কাজগুলি করা হয়। এই প্রকল্পের অধীনে রায়গঞ্জ পুরসভার বন্দর এলাকাকে জোন-১, দেবীনগর এলাকাকে জোন-২, খরমুজাঘাট এলাকাকে জোন-৩ এবং কাশিবাটি এলাকাকে জোন-৪-এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, এই প্রকল্পে মোট ৬৩ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। প্রকল্পের মাধ্যমে ৩৬ হাজার বাড়িতে পানীয় জল সরবরাহ করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। কাজের ৯৮ শতাংশই শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে এখন বাড়ি বাড়ি জলের লাইন পৌঁছে দেওয়ার কাজ আটকে রয়েছে। টাকা পেলে দ্রুত সেই কাজও সেরে ফেলা হবে।
এদিকে, বাড়ি বাড়ি পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহের পুরসভার এই প্রকল্পকে বর্তমান সরকারের ভাঁওতা বলে কটাক্ষ করেছেন উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি পবিত্র চন্দ। তিনি বলেন, প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রায়গঞ্জের সাংসদ প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির উদ্যোগে জহরলাল নেহেরু ন্যাশনাল আরবান রিনিউয়াল মিশন বা জেএনএনইউআরএম প্রকল্পে রায়গঞ্জ শহরে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল সরবরাহ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে দীপা দাশমুন্সি সাংসদ থাকাকালীন এই প্রকল্পের টাকা রিলিজের ক্ষেত্রে গড়িমসি করে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। পুরসভার ক্ষমতায় যদি কংগ্রেস থাকত তবে এতদিনে এই কাজ শেষ হয়ে যেত।