বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এই অবস্থায় আলিপুরদুয়ার-২ পঞ্চায়েত সমিতি চাপড়েরপাড়-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের শোভাগঞ্জে ওই নালার জল পরিশুদ্ধ করে কালজানিতে ফেলার প্রস্তাব দিয়েছে পুরসভাকে। পঞ্চায়েত সমিতি ওই নিকাশির দু’পাশে বাসিন্দাদের যাতায়াতের সুবিধার্থে পাকা রাস্তা নির্মাণেরও প্রস্তাব দিয়েছে পুরসভাকে।
এই প্রস্তাব পাওয়ার পরেই আলিপুরদুয়ার পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান মিহির দত্ত বুধবার আলিপুরদুয়ার-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনুপ দাসকে নিয়ে ওই নিকাশি নালাটি ঘুরে দেখেন। পরে শোভাগঞ্জে কালজানি নদীবাঁধে থাকা ওই নিকাশি নালার স্লুইস গেটটিও পরিদর্শন করেন। শোভাগঞ্জের বাসিন্দারাও সেইসময় পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যানকে ওই নালার জন্য তাঁদের দুর্ভোগের কথা জানান।
পরে আলিপুরদুয়ার-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনুপবাবু বলেন, প্রতিবছর বর্ষার সময় ওই নালার নোংরা জলে শোভাগঞ্জের প্রায় আড়াই’শো বাড়ি ডুবে যায়। দীর্ঘদিন ধরেই এই সমস্যা চলছে শোভাগঞ্জের বাসিন্দাদের। ওই নোংরা জলে দূষিত হচ্ছে কালজানির জলও। সেই জন্যই কালজানির দূষণ আটকাতে ও শোভাগঞ্জে ওই নালার দু’পাশে পাকা রাস্তার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে পুরসভাকে। নালার দু’পাশে রাস্তা হলে বাসিন্দাদের যাতায়াতের যেমন সুবিধা হবে তেমনি বর্ষায় নালা উপচে জলও ঢুকবে না আশপাশের বাড়িঘরে।
পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান মিহিরবাবু বলেন, কালজানির দূষণ আটকাতে ইতিমধ্যেই মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের অর্থে শহরের বকড়িবাড়ি ও পলাশবাড়ি এলাকায় কালজানি নদীবাঁধের দু’টি স্লুইস গেটের নোংরা জল পরিশুদ্ধ করার কাজ শুরু হয়েছে। এই কাজে খরচ হচ্ছে ২২ লক্ষ টাকার মতো। এবার শহর সংলগ্ন শোভাগঞ্জের স্লুইস গেটেও ওই নিকাশি নালার নোংরা জল পরিশুদ্ধ করা হবে। শোভাগঞ্জের ওই নালার দু’পাশে পাকা রাস্তা করা যায় কি না তাও আমরা খতিয়ে দেখছি।
শহরের ওই নালার নোংরা জলে প্রতি বর্ষায় শোভাগঞ্জ এলাকাটি ডুবে যায়। শহরের ওই নালার নোংরা জলে থেকে বাঁচতে শোভাগঞ্জের বেশিরভাগ বাসিন্দাই টং ঘরের মতো উঁচু বাড়ি তৈরি করেছেন। বাসিন্দাদের দাবি, ওই নালার দু’পাশে পাকা রাস্তা হলে নালার জল আর বাড়িঘরে ঢুকতে পারবে না।