পিতার স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
শিলিগুড়ি শহরে বেআইনি টোটোর দাপট দীর্ঘদিনের। যাদের কোনও নম্বর প্লেট নেই। আবার একই ব্যক্তি একাধিক টোটো রাস্তায় নামিয়েছেন। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি বহুদিনের। এদিন মৈনাক ট্যুরিস্ট লজে দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন পর্যটনমন্ত্রী। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলা বৈঠকে মন্ত্রী ছাড়াও দুই জেলার জেলাশাসক, আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিক, পুলিস সহ টোটোচালকদের সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পর শিলিগুড়ির এআরটিও অফিসের আধিকারিকরা বলেন, শিলিগুড়ি মহকুমায় টিন প্রাপ্ত টোটোর সংখ্যা ৪১৭৯টি। শিলিগুড়ি শহরে এমন টোটোর সংখ্যা ৩৮২৪টি। যারমধ্যে ই-রিকশয় রূপান্তরিত হয়েছে ২১৮৭টি। এরা পরিবহণ দপ্তর থেকে ইতিমধ্যে রেজিস্ট্রেশন নম্বর নিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১৬৩৭টি টোটো স্ক্র্যাপ করা বাকি রয়েছে। সেগুলির মধ্যে ১৭৮টি টোটো স্ক্র্যাপ করার আবেদন করেছে। বাকি টোটোচালকরা এখনও প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। এই পরিসংখ্যানের বাইরে শহরে কত বেআইনি টোটো চলাচল করছে তা বলা সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, এই শহরে টোটোর সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। টোটোর জেরে শহরের কিছু এলাকার রাস্তা দিয়ে চলাচল করাই দুষ্কর হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। আইএনটিটিইউসি’র ছত্রছায়ায় থাকা শিলিগুড়ি-ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি ই-রিকশ ওনার্স অ্যান্ড ড্রাইভার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বাবলা পালচৌধুরী বলেন, শহরে বেআইনিভাবে ১০ হাজারেরও বেশি টোটো চলাচল করছে। বিশেষ করে শহরের সংযোজিত এলাকার নথি দেখিয়ে জলপাইগুড়ি জেলার পরিবহণ দপ্তরের কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশন নম্বর নিয়ে টোটো রাস্তায় নামানো হচ্ছে। এই বিষয়টি অবিলম্বে গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। তা না হলে একসময় এই শহরে জলপাইগুড়ির টোটোর সংখ্যা বেড়ে যাবে। প্রসঙ্গত, আদালতের নির্দেশ অনুসারে ইতিমধ্যে জাতীয় সড়কে টোটো চলাচল নিষিদ্ধ করেছে পুলিস। এরপরই টোটোচালকদের একাংশ কিছু এলাকায় জাতীয় সড়ক দিয়ে টোটো চলাচলে ছাড় দেওয়ার দাবি তোলেন। এদিনের বৈঠকে এই বিষয়টিও আলোচনা করা হয়। শিলিগুড়ি-ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি ই-রিকশ ওনার্স অ্যান্ড ড্রাইভার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বলেন, ফুলবাড়ি থেকে তিনবাত্তি, এনজেপি, দার্জিলিং মোড় থেকে সুকনা, চম্পাসারি, ভক্তিনগর চেকপোস্টের পর থেকে জাতীয় সড়ক ছাড়া অন্য কোনও রাস্তা নেই। তাই সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলি দিয়ে টোটো চলাচল করার দাবি জানানো হয়েছে। প্রশাসন এব্যাপারে লিখিত চেয়েছে। তা শীঘ্রই প্রদান করা হবে।
পর্যটনমন্ত্রী বলেন, আমরা টোটোচালকদের প্রতি সহানুভুতিশীল। কিন্তু, সকলকে আইন মেনে চলতে হবে। আইন না মানলে নৈরাজ্য তৈরি হবে। তা ঠিক নয়। তাই ই-রিকশ কোথায় যেতে পারবে, কোথায় যেতে পারবে না তা প্রশাসন বৈঠক করে ঠিক করবে। অর্থাৎ, শীঘ্রই টোটো চলাচলের প্রথা, পদ্ধতি ঠিক হবে। এর বাইরে কিছু মানুষের হাতে একাধিক টোটো রয়েছে। আবার কিছু জায়গায় বেআইনিভাবে টোটো তৈরি করা হচ্ছে। এসবের বিরুদ্ধে পুলিস শীঘ্রই অভিযানে নামবে। ফাইল চিত্র