পিতার স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
কোভিড ভ্যাকসিনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে চাতক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন গৌড়বঙ্গবাসী। এদিন সেই প্রতীক্ষার অবসান ঘটেছে। কড়া নিরাপত্তায় এদিন সন্ধ্যায় কলকাতা থেকে ভ্যাকসিন ভ্যান মালদহে প্রবেশ করে। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রের খবর, গৌড়বঙ্গের তিন জেলার জন্য বরাদ্দ ভ্যাকসিনের পরিমাণ ৫৯ হাজার ৫০০ ডোজ। এরমধ্যে মালদহের জন্য বরাদ্দের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ২২ হাজার ডোজ। প্রথম পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট জেলায় ১৯ হাজার ৮০০ জন উপভোক্তাকে একটি করে ডোজ দেওয়া হবে। দক্ষিণ দিনাজপুরে ১৮ হাজার ২৩৫ জন উপভোক্তাকে প্রদান করা হবে ২০ হাজার ৫০০ ডোজ। উত্তর দিনাজপুরে ১৫ হাজার ৪৫ জন উপভোক্তার জন্য বরাদ্দের পরিমাণ ১৭ হাজার ডোজ।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলার জন্য বরাদ্দ ভ্যাকসিনের পরিমাণ ৬৯ হাজার ডোজ। যারমধ্যে কোচবিহার জেলার জন্য বরাদ্দের পরিমাণ সর্বাধিক, ১৮ হাজার ৫০০ ডোজ। সংশ্লিষ্ট জেলায় প্রথম পর্যায়ে ১৬ হাজার ৪৬২ জন উপভোক্তার মধ্যে ওই ডোজ প্রদান করা হবে। দার্জিলিং জেলায় ১৫ হাজার ৯৯৭ জন উপভোক্তার জন্য বরাদ্দের পরিমাণ ১৮ হাজার ডোজ। জলপাইগুড়ি জেলায় ১৪ হাজার ৪৬২ জনের জন্য ১৬ হাজার ৫০০ ডোজ, আলিপুরদুয়ারে ১০ হাজার ৮২৫ জনের জন্য ১২ হাজার ৫০০ ডোজ এবং কালিম্পং জেলায় ২ হাজার ৭৫৩ জন উপভোক্তার জন্য ৩ হাজার ৫০০ ডোজ বরাদ্দ হয়েছে।
প্রথম পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রদানে জেলাগুলি জোর প্রস্তুতি নিয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে ভ্যাকসিন প্রদানকারী অফিসার ও সুপারভাইজারের নামের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। সমগ্র উত্তরবঙ্গে ভ্যাকসিন প্রদানকারী অফিসারের সংখ্যা ১৮২৮ জন। যারমধ্যে কোচবিহারে ১২০, আলিপুরদুয়ারে ৭২, জলপাইগুড়িতে ৭৭৮, কালিম্পংয়ে ১০০, দার্জিলিংয়ে ৩২৫, উত্তর দিনাজপুরে ৩১০ এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে ১২৩ জন রয়েছেন। টিকা প্রদান কর্মসূচি তদারকি করবেন ১৭০ জন সুপারভাইজার। যারমধ্যে দার্জিলিংয়ে ৪৮, আলিপুরদুয়ারে ২৪, জলপাইগুড়িতে ৪৬, কালিম্পংয়ে ৮, উত্তর দিনাজপুরে ১২ এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে ৩২ জন সুপারভাইজার রয়েছেন। উত্তরবঙ্গে টিকাদান কেন্দ্র চিহ্নিত করা হয়েছে ১৩৯টি। যারমধ্যে কোচবিহারে ১৮, আলিপুরদুয়ারে ২৪টি, জলপাইগুড়িতে ২৩টি, কালিম্পংয়ে ৯টি, দার্জিলিংয়ে ২১টি, দক্ষিণ দিনাজপুরে ১৬টি, উত্তর দিনাজপুরে ১২টি এবং মালদহে ১৬টি সেন্টার করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের উত্তরবঙ্গের ওএসডি ডাঃ সুশান্তকুমার রায় বলেন, স্বাস্থ্যদপ্তরের নির্দেশ অনুসারে ভ্যাকসিন প্রদান নিয়ে সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সেন্টার চিহ্নিতকরণ থেকে ভ্যাকসিন প্রদানকারী অফিসারের তালিকা তৈরি, পরিবহণ ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, মালদহ থেকে সড়কপথে ভ্যাকসিন ভ্যান রওনা দিয়েছে শিলিগুড়ির উদ্দেশে। এদিন রাতের মধ্যে ওই ভ্যান উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছতে পারে। তা না হলে আজ, সকালের মধ্যে তা পৌঁছে যাবে।
এদিন ভ্যাকসিন সংগ্রহ ও টিকাপ্রদান কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে করতে প্রতিটি জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তর বৈঠক করেছে। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলির মধ্যে দার্জিলিং জেলা অন্যতম। এদিন বিকেলে স্টেট গেস্ট হাউজে দার্জিলিং জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকরা বৈঠক করেন। বৈঠকে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য ও অতিরিক্ত জেলাশাসক (স্বাস্থ্য) সুমন্ত সহায় ছাড়াও স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। পরে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচি ওয়েব কাস্টিং করা হবে। ১৬ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হবে।