বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম সৈয়দ সাউ (২২), মহম্মদ ফরাজ আলম(১৮) ও মহম্মদ ফেকু(২৬)। তিনজনেরই বাড়ি কলকাতার নারকেলডাঙা থানা এলাকায়। সোমবার রাতে হরিরামপুর থানার পুলিস হরিরামপুর-বুনিয়াদপুর রাজ্য সড়কে পেট্রোলিং করছিল। সেসময় হরিরামপুরের নালন্দা স্কুল এলাকায় রাজ্য সড়কের পাশে গভীর রাতে একটি বাইক দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। সন্দেহ হয় পুলিস কর্মীদের। বাইকের মালিকের খোঁজে আশপাশে তল্লাশি চালানো হয়। নালন্দা স্কুলের ভেতর কয়েকজন যুবককে কথাবার্তা বলতে দেখেন পুলিস কর্মীরা। তাঁরা কাছে এগিয়ে যেতেই দু’জন যুবক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। বাকি তিনজন যুবক পুলিসের হাতে ধরা পড়ে যায়। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ধারালো অস্ত্র ও একটি বাইক।
ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস জানতে পেরেছে, কলকাতা থেকে তারা বাইকে করে এই এলাকায় এসেছে। এখানে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে তারা যোগাযোগ করেছে। তদন্ত করে প্রাথমিকভাবে পুলিস জানতে পেরেছে, ডাকাতির উদ্দেশ্যে স্থানীয় দুষ্কৃতীদের সহযোগিতায় যুবকরা একত্র হয়েছিল। সেসময় হানা দেয় পুলিস। তাদের সঙ্গে এলাকার কোন কোন দুষ্কৃতী জড়িত রয়েছে, তাদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস। ধৃতদের এদিন গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। সেখানে বিচারক তাদের ১৪ দিনের জেলা হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
হরিরামপুর থানার আইসি সঞ্জীব বিশ্বাস বলেন, সোমবার গভীর রাতে আমাদের থানার পুলিস পেট্রোলিং করার সময় ডাকাতির ছক ভেস্তে দিয়েছে। কলকাতার বাসিন্দা তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে অনেক তথ্য জানতে পেরেছি। তদন্তের স্বার্থে আমরা এখনই সেসব কিছু বলছি না। তাদের সঙ্গে এলাকারই কয়েকজনের যোগ রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। ওই দুষ্কৃতীদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে কলকাতায় তাদের বাড়ির ঠিকানায় যোগাযোগ করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিস।
প্রসঙ্গত, এর আগেও এলাকায় কলকাতার দুষ্কৃতীদের আনাগোণার অভিযোগ উঠেছিল। কিছুদিন আগে দুষ্কৃতীরা একটি ছোট গাড়ি চুরি করে নিয়ে পালাচ্ছিল। তবে পথিমধ্যে সেই গাড়ি খারাপ হয়ে যাওয়ায়, গাড়িটি ছেড়েই পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। সেই দলেও কলকাতার কয়েকজন ছিল বলে জানা গিয়েছে। বারবার কেন কলকাতা থেকে হরিরামপুরে চলে আসছে দুষ্কৃতীরা, জোর জল্পনা শুরু হয়েছে স্থানীয় মহলে।