বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
জেলা যুব তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, যুব সংগঠনের দলীয় রাজনৈতিক কর্মসূচি যা যা রয়েছে, সেসব আলাদাভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে। সেই কার্মসূচির কমিটির থেকে পৃথকভাবে এই কমিটি তৈরি করা হয়েছে। করোনার পাশাপাশি উম-পুনেরও ব্যাপক প্রভাব পড়েছে জেলায়। এই দু’য়ের ফলে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই বিশেষ কমিটির সদস্যরা করোনা পরিস্থিতে সাধারণ মানুষের সমস্যার সমাধান করার পাশাপাশি জনগণের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলবেন। সেইসঙ্গে জনসংযোগের কাজ চালাবেন। জেলাস্তরের ওই কমিটির তরফে ব্লক ও শহর এলাকায় দলীয় যুব সংগঠনের কর্মীদের এই কাজের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
জেলা যুব সংগঠনের সভাপতি অম্বরীশ সরকার বলেন, করোনা পরিস্থিতি ও উম-পুন ঝড়ে বিপর্যস্ত রাজ্য। এই সময় বাংলায় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য রাজনীতি শুরু করে দিয়েছে। বাংলার মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে বিরোধীরা সাধারণ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করছে। দলের তরফে আমাদের বলা হয়েছে যে, এখন রাজনীতি করার সময় নয়। বাংলার মানুষের পাশে থাকাই এখন আমাদের কাজ। রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে যুব শক্তি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে দলের যুবক কর্মীদের নিয়ে। ব্লক ও শহরের জন্য সাতজনের কমিটি করা হয়েছে। সেই কমিটি আবার অঞ্চলস্তরে কমিটি গঠন করছে। আমাদের কাজ দলমত নির্বিশেষে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে জেলার প্রতিটি মানুষের বাড়িতে গিয়ে জনসংযোগ করা। সাধারণ মানুষের সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে জানা ও তা স্থানীয়ভাবে সমাধান করা। কোনও ক্ষেত্রে যদি আমরা কোনও সমস্যার সমাধান করতে না পারি, সেক্ষেত্রে রাজ্যস্তরে সমস্যা সম্পর্কে জানানো হবে।
এদিকে তৃণমূলের এই উদ্যোগকে স্বভাবতই কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির সংসদ সদস্য সুকান্ত মজুমদার বলেন, সরকারের কাজকর্ম নিয়ে যদি সাধারণ মানুষ সন্তুষ্টই থাকেন, তবে এত জনসংযোগের দরকার কেন হচ্ছে? করোনা পরিস্থিতে সাধারণ মানুষ রেশনের চাল থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। বিজেপি সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে চাইলেও তাতে শাসক দল বাধা দিচ্ছে।