বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
মাথাভাঙার মহকুমা শাসক জিতিন যাদব বলেন, এদিনের রিপোর্ট অনুযায়ী আমাদের মহকুমায় মোট পাঁচজনের করোনা পজিটিভ এসেছে। সকলকেই কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শিবপুরের পজিটিভ একজন হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। ওই এলাকায় যাতে আতঙ্ক ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য আমাদের ‘করোনা সেল’এর কর্মীরা কাজ শুরু করেছেন। নগর গোপালগঞ্জকে কন্টেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। ওই যুবকের সংস্পর্শে অন্য এলাকার কেউ এসেছিলেন কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মাথাভাঙা-১’র বিডিও সম্বল ঝা বলেন, বাসিন্দাদের করোনা ভীতি কাটানোর জন্য সকালে এলাকায় গিয়ে বুঝিয়েছি। বলেছি, কন্টেইনমেন্ট জোন থেকে বেরবেন না। আমাদের লোক এলাকায় আছে। প্রয়োজনে তাঁদের সবটা জানান। তাতেও অসুবিধা হলে টেলিফোন করে আমাদের সাহায্য নিন। বাইরে থেকে যাতে কেউ এলাকায় না আসেন, সেটাও তাঁদের দেখতে বলেছি।
মহকুমা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচজনের মধ্যে বাকি চারজন সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ছিলেন। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা যুবক মাথাভাঙা-১ ব্লকের জোরপাটকি গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবপুরের নগর গোপালগঞ্জের বাসিন্দা। ওই যুবক ১৮ মে মুম্বই থেকে শিবপুরের বাড়িতে আসেন। ২০ তারিখে তাঁর সোয়াব সংগ্রহ করার পর প্রশাসন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, গত ১০ দিনে ওই যুবক গোটা এলাকাতেই ঘুরেছেন। একাধিকবার শিবপুর বাজারেও যান। গোলকগঞ্জ বাজারে থাকা একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় গিয়েছিলেন। তাঁর করোনা পজিটিভ, এ সংক্রান্ত খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়তেই বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এদিন সকালে এলাকায় আসেন মাথাভাঙা-১’র বিডিও সহ স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন। কন্টেইমেন্ট জোনে থাকার সময়ে কী কী নিয়ম মানতে হবে তা বাসিন্দাদের জানানো হয়।