স্বাস্থ্য বেশ ভালোই থাকবে। আর্থিক দিকটিও ভালো। সঞ্চয় খুব ভালো না হলেও উপার্জন ভালো হবে। ... বিশদ
দীর্ঘদিন ধরেই জলপাইগুড়িতে দলের অন্দরে মোহন-কিষাণের মধ্যে বিভাজন রয়েছে। সম্প্রতি মোহনবাবুকে পুরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ না করায় তিনি রুষ্ট হন। আর তারপরেই জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভ সপ্তমে ওঠে। ফলে জেলার রাজনীতিতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবার একেবারে প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও কিষাণ কল্যাণীর দাবি, তিনি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পদে রয়েছেন। কারও দয়ায় নয়।
মোহন বসু বলেন, বৃহস্পতিবার জেলার বিভিন্ন ব্লকের নেতৃত্ব, জেলা নেতৃত্ব এসেছিল। জনপ্রতিনিধি, জেলা পরিষদের সদস্য, পুরসভা বিদায়ী কাউন্সিলারাও আসেন। তাঁরা আগেও আমার পাশে ছিলেন, এখনও আছেন, এ কথা বলে যান। ওঁরা বলেছেন, আমি যে সিদ্ধান্তই নিই না কেন ওনাবা সমর্থন করবেন। আমরা দিদির নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল। তবে একটাই কন্ডিশন, দলের জেলা কমিটি থেকে কিষাণ কল্যাণীকে সরাতে হবে। এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জুন মাসে নেব। দলকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আলাদাভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাব। এবার তা আরও শক্তিশালী হবে।
যদিও জেলা সভাপতি নিজে স্বীকার না করলেও কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছেন এটা স্পষ্ট। যদিও তিনি মুখে বলেন, এই দলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বোচ্চ নেত্রী। সুতরাং তিনি যদি মনে করেন আমাকে সরিয়ে দেবেন, তাহলে তা করতেই পারেন। তা ছাড়া সুপ্রিমো যদি মনে করেন আমি থাকলে দলের ক্ষতি হচ্ছে, তাহলে আমি সরে যাব। কিন্তু এটা বলে দিতে চাই মোহনবাবুর কথায় আমি সরছি না।
খগেশ্বরবাবু বলেন, আমি মোহনবাবুর সঙ্গে দেখা করেছি। ওঁকে বলেছি, দল ছাড়বেন না। আমাদের দলের নেত্রীই প্রধান। কে সভাপতি আমরা বুঝি না। বিক্ষুব্ধ ব্লক সভাপতি, যাঁদের বের করে দেওয়া হয়েছে লকডাউন উঠুক তারপর তাঁদের সঙ্গে আমরা কথা বলব। তখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি কথা দিয়েছেন, তৃণমূলে থেকেই দলকে কীভাবে আরও শক্তিশালী করা যায় সেটা তিনি করবেন।
জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ না পাওয়ার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত হয়েছে বলে হুঙ্কার দিয়েছিলেন মোহন বসু। এরপর বিজেপি নেতৃত্ব তাঁর সঙ্গে দেখা করার পরেই জল্পনা শুরু হয়ে যায়, তাহলে মোহনবাবু কি গেরুয়া শিবিরে যোগ দিতে চলেছেন। তিনিও এ প্রসঙ্গে কিছু খোলসা করেননি। ফলে রহস্য আরও বেড়েছে। এরই মধ্যে গৌতম দেব মোহনবাবুর সঙ্গে দেখা করে যাওয়ার পরেই জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে বিস্ফোরণ মন্তব্য করেন তিনি। এতে জলপাইগুড়ির রাজনৈতিক মহলে হইচই পড়ে গিয়েছে।