বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
গত ৩১ মার্চ আর্থিক বছর শেষ হয়। নিয়ম অনুসারে অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বরাদ্দ অর্থের খরচ না হওয়া অংশ বিভিন্ন দপ্তরের কাছ থেকে ফেরত চেয়েছে রাজ্য সরকার। তাদের মধ্যে শিলিগুড়ি পুরসভা একটি। প্রশাসন সূত্রের খবর, গত আর্থিক বছর রাস্তা উন্নয়নে ২২ কোটি টাকা, গ্রিনসিটি মিশনে ১৩ কোটি টাকা, বস্তি উন্নয়নে পাঁচকোটি টাকা খরচ করার অনুমোদন দিয়েছিল রাজ্য। জানুয়ারি মাসে সংশ্লিষ্ট বরাদ্দ অর্থ দিয়ে কাজে ঝাঁপায় পুরকর্তৃপক্ষ। তারা বরাদ্দ অর্থের উপর নির্ভর করে একগুচ্ছ প্রকল্পের শিলান্যাসও করে। কিন্তু করোনার থাবায় ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিক থেকে তাদের উন্নয়নমূলক কাজকর্ম থমকে যায়। এমন প্রেক্ষাপটে অর্থদপ্তর অব্যবহৃত অর্থ ফেরত চাওয়ায় মেয়র কার্যত ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
অশোকবাবু বলেন, শহরের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ চেয়ে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করেছি। অবশেষে আর্থিক বছর শেষ হওয়ার মুখে অর্থ বরাদ্দের অনুমোদন দেওয়া হয়। এখনও বরাদ্দ অর্থ হাতে আসেনি। এখন রাজ্য সরকার ওই অর্থ আবার ফেরত চাইছে। তা ফেরত নেওয়া হলে শহরের উন্নয়নে মারাত্মক ক্ষতি হবে। তাছাড়া রাজ্যের অধিকাংশ পুরসভা ও জেলা পরিষদ তৃণমূলের। বরাদ্দ অর্থ ফেরত নেওয়া হলে ওই পুরসভা ও জেলা পরিষদগুলিরও ক্ষতি হবে। তাই ওই অর্থ ফের অনুমোদন করা উচিত। আমাদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পুরসভা পরিচালনার দায়িত্বে যারা থাকবে তাদের সুবিধা হবে।
শুধু পুরসভা নয়, বামফ্রন্ট শাসিত শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদও বেকায়দায় পড়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, গত আর্থিক বছর মহকুমার গ্রামীণ এলাকার উন্নয়ন করতে পরিষদকে কয়েক কোটি টাকা দেওয়া হয়। যারমধ্যে দু’কোটির বেশি অর্থ এখনও খরচ হয়নি বলে অভিযোগ। মহকুমা পরিষদের এক আধিকারিক বলেন, বরাদ্দ অর্থের মধ্যে কতটা খরচ হয়েছে, কতট খরচ হয়নি সেই হিসেব কষা চলছে। পরিষদের সভাধিপতি সিপিএমের তাপস সরকার বলেন, উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্য অনেক দেরিতে বরাদ্দ মিলেছে। ফেব্রুয়ারি মাসে কিছু টাকা এসেছে। করোনা পরিস্থিতির জেরে বরাদ্দ অর্থ দিয়ে উন্নয়নমূলক কাজ করার সুযোগই পাইনি। এখন রাজ্য সরকার ওই অর্থ ফেরত চাওয়ায় বিপদের মুখে পড়েছি।
তৃণমূল কংগ্রেস নিয়ন্ত্রিত এসজেডিএ’র অবস্থাও একই। প্রশাসন সূত্রের খবর, শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি জেলার উন্নয়নের জন্য উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর এবং পুরদপ্তর থেকে গত আর্থিক বছর বিপুল পরিমাণ অর্থ পায় সংশ্লিষ্ট সংস্থা। আর্থিক বছর শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্য অর্থদপ্তর অব্যবহৃত বরাদ্দ ফেরত চাওয়ায় এসজেডিএ কর্তৃপক্ষও বেকায়দায় পড়েছে। তারা এখন খরচ না হওয়া বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ হিসেব করছে। এসজেডিএ’র এক আধিকারিক বলেন, নিয়ম অনুসারেই সরকার বরাদ্দ অর্থের খরচ না হওয়া অংশ ফেরত চেয়েছে। তাই এখন বিভিন্ন প্রকল্পের ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোন প্রকল্পে কতটা খরচ হয়েছে, কত টাকা খরচ হয়নি, সেই হিসেব করা হচ্ছে। ৯ এপ্রিলের মধ্যে বরাদ্দ অর্থের খরচ না হওয়া অংশ ফেরত দেওয়া হবে।