বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
এ বিষয়ে কালচিনির বিডিও ভূষণ শেরপা বলেন, এটা পুরোপুরি ভারত-ভুটান দু’দেশের বৈদেশিক বিষয়। এ বিষয়ে আমরা কোনও মন্তব্য করতে পারি না। তবে ভুটান সরকার কেন্দ্রীয় সরকারকে তাদের দেশে পণ্য পাঠানোর আবেদন করলে কেন্দ্র তা রাজ্যকে জানায়। রাজ্য থেকে জেলাশাসকের কাছে সেই বার্তা আসে। তারপরেই পণ্য পাঠানো হয় ভুটানে।
লকডাউনের জেরে ভারত-ভুটান দু’দেশের মধ্যে এখন সব ধরনের যাতায়াত বন্ধ। জয়গাঁ দিয়ে লকডাউন শুরুর সময় থেকে ভুটানে শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য সামগ্রী যাচ্ছিল। কিন্তু সোমবার থেকে ভুটানে সেই খাদ্য সামগ্রী যাওয়াও পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এ বিষয়ে জয়গাঁর বাসিন্দা বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, ভুটান আমাদের মিত্র দেশ। সেজন্য আমরা চাইছি, অন্যান্য পণ্য যেতে দিতে না চাইলেও ভুটানে অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যসামগ্রী পাঠানোর বিষয়টি খতিয়ে দেখুক কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকার। এতে সরকারি রাজস্ব যেমন আসবে তেমনই স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও উপকৃত হবেন।
জয়গাঁ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রামাশঙ্কর গুপ্তা বলেন, করোনার সংক্রমণ এড়াতে পুরোপুরি লকডাউন অবশ্যই দরকার। পাশাপাশি মিত্র দেশ হিসেবে ভুটানে অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যসামগ্রী পাঠানো উচিত।
ভুটানের ফুন্টশোলিংয়ের নাগরিক, দেশ-বিদেশের পর্যটক, স্থানীয় মানুষ ও হাজার হাজার গাড়ির আনাগোনায় ২৪ ঘণ্টা গমগম করত আলিপুরদুয়ারের কসমোপলিটন সীমান্ত জয়গাঁ। কিন্তু লকডাউনের জন্য ভারত-ভুটান দু’দেশের মধ্যে বিমান ও সড়কপথ সহ সমস্ত ধরনের পথে এখন পুরোপুরি যাতায়াত বন্ধ। সীমান্ত শহর জয়গাঁর রাস্তাঘাট এখন ফাঁকা।
জয়গাঁয় ল্যান্ড কাস্টমস চেকপোস্ট দিয়ে ভুটানে ভারত থেকে লোহা, সিমেন্ট, ইট, বালি, পাথর, প্রসাধনী সামগ্রী, খাদ্যসামগ্রী ও আনাজপাতি যেত। এর জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যের কোষাগারে প্রতি মাসে কয়েক কোটি টাকার রাজস্ব জমা হতো। করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের জেরে এখন ভুটানে পণ্য রপ্তানি বন্ধ। তাতে সরকারিভাবে কত রাজস্বের ক্ষতি হয়েছে তার কোনও হিসেব মেলেনি। সরকারিভাবে স্থানীয় শুল্ক দপ্তরের কেউ কোনও মন্তব্য করতে চাননি।