উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের তপন দেব সিংহ, বিজেপির কমলচন্দ্র সরকার এবং কংগ্রেসের ধীতশ্রী রায়। কংগ্রেস প্রার্থীর নাম অনেক আগে ঘোষণা হলেও বাম ও কংগ্রেসের রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় স্তরের কোন নেতা-নেত্রীর এতদিন কালিয়াগঞ্জে নির্বাচনী প্রচারে আসেননি। বুধবার কংগ্রেসের নেত্রী দীপা দাশমুন্সি, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র, আব্দুল মান্নান, প্রদীপ ভট্টাচার্য, বাম নেতা সুজন চক্রবর্তীর মতো হেভিওয়েট নেতানেত্রীরা এদিন কালিয়াগঞ্জ শহরে জনসভা করেন। জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত সভা পরিচালনা করেন। মহেন্দ্রগঞ্জ বাজারের এই সভায় ভিড় উপচে পড়ে।
কালিয়াগঞ্জের বধূ দীপা দাশমুন্সি গত লোকসভা ভোটের পর আর এখানে আসেননি। উপনির্বাচন দোরগোড়ায় চলে এলেও শেষবেলায় তিনি প্রচারে আসেন। কংগ্রেসের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় স্তরের নেতা নেত্রীরা আগে থেকে প্রচারে না আসায় কংগ্রেসের নেতাকর্মীদের মধ্যে একটা হতাশা তৈরি হয়েছিল। যদিও এদিন দীপাদেবী বলেন কয়েকদিন ধরে প্রচার চালাব। এতে কংগ্রেস শিবির উজ্জীবিত হয়েছে। বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী কর্মীদের জোট প্রার্থীর হয়ে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়তে বলেন। কংগ্রেস প্রার্থীর হয়ে সিপিএম কর্মীরা প্রচারে নামবেন কি না সেনিয়ে দলের একাংশে আগে সংশয় ছিল। এদিন দলের রাজ্যনেতা কর্মীদের ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেওয়ায় ধোঁয়াশা কাটবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বুধবার বিজেপির কোনও হেভিওয়েট নেতার বড় সভা, প্রচার না থাকলেও তাদের নিচুতলার নেতাকর্মীরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার চালিয়েছেন। নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কালিয়াগঞ্জ শহরের একটি জনসভা করে প্রচারে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। এরপর লকেট চট্টোপাধ্যায়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী রায়, বাবুল সুপ্রিয়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায় রাহুল সিংহ প্রমূখ রোড শো থেকে ছোট-বড় সভা করে প্রচারে ঝড় তুলে দিয়েছেন।
গত লোকসভা নির্বাচনে এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ৫৭ হাজার ভোটে লিড পেয়েছিল বিজেপি প্রার্থী। বিধানসভা উপনির্বাচনে ছোট ছোট প্রচারে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে তারা। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা এখানে মাটি কামড়ে পড়ে ছিলেন।
অপরদিকে তৃণমূল কংগ্রেস তাদের সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়েছে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে। বুধবার দুই মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও গৌতম দেব ছাড়া উত্তরপাড়া বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল, কোচবিহারের প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় দলের প্রার্থী তপন দেব সিংহের হয়ে প্রচারে অংশ নেন। এছাড়াও বিধায়ক খগেশ্বর রায়, রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী সহ তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক নেতা-মন্ত্রী উপস্থিত হয়েছেন। বিজেপি-তৃণমূলের তুলনায় ব্যানার পোস্টার দেওয়াল লিখন এবং হেভিওয়েটদের এনে প্রচারে কংগ্রেস পিছিয়ে থাকলেও শেষ বেলায় একগুচ্ছ নেতা-নেত্রীদের এনে সেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়েছে। এখন শেষ পর্যন্ত নিরুত্তাপ ভোটাররা কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে কী সিদ্ধান্ত নেন সে দিকে তাকিয়ে রয়েছে সবমহল।