উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
ট্রাক মালিক সমিতির সম্পাদক আব্দুল সামাদ বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্য অভিযোগ তোলা হয়েছিল। আমরা নিয়ম মেনেই পার্কিং করি। সবকিছুই মেনে চলি। এদিন বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। অচলাবস্থা কাটল।
মেখলিগঞ্জের বিডিও সাঙ্গে ইউডেন ভুটিয়া বলেন, এদিনের বৈঠকে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। আগামী দিনে সবপক্ষ চ্যাংরাবান্ধা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্রের নিয়ম মেনে চলবে বলে সহমত পোষণ করেছে। তাই বলা যায়, অচলাবাস্থা কেটেছে। স্কুল ও হাসপাতালের সামনে যাতে কেউ ট্রাক পার্কিং না করে সেটা খেয়াল রাখতে বলেছি। সকলেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে নিয়ম মেনে চলার।
গত শনিবার চ্যাংরাবান্ধা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্রের ট্রাক টার্মিনাসের সামনে একটি লরির ধাক্কায় এক কিশোরের মৃত্যু হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়রা আন্দোলন শুরু করেন। পুলিসের সঙ্গে স্থানীয়দের এনিয়ে সেদিন সংঘর্ষও হয়েছিল। তাতে তিনজন পুলিস কর্মী আহত হয়েছিলেন। পুলিস ওই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে তিনজনকে পরবর্তীতে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে কিছু লোক ট্রাক টার্মিনাসের গেটে তালা লাগিয়ে দেয়। যেকারণে বৈদেশিক বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। সমস্যা সমাধানের জন্য ব্লক প্রশাসন হস্তক্ষেপ করে। এদিন সবপক্ষকে নিয়ে বিডিও বৈঠকে বসেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বৈদেশিক বাণিজ্যের সমস্ত কিছু বেআইনিভাবে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে ট্রাক মালিক সমিতি। সার্ক রোডের উপর তারা অবৈধভাবে ট্রাক পার্কিং করাচ্ছে। যেকারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। ট্রাক মালিক সমিতির লোকজন স্থানীয় স্কুল ও হাসপাতালের সামনেও ট্রাক পার্কিং করে রাখছে। যদিও অভিযোগ প্রথম থেকে অস্বীকার করে আসছে ট্রাক মালিক সমিতি। তৃণমূল নেতৃত্বের আরও অভিযোগ, ট্রাক মালিক সমিতি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্রে রীতিমতো সিন্ডিকেট রাজ চালাচ্ছে। এদিনের বৈঠকের পর চ্যাংরাবান্ধা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কেন্দ্রের ট্রাক টার্মিনাসের সামনে পার্কিং নিয়ে যাতে কোনও সমস্যা তৈরি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে নির্দেশ দেন বিডিও। এদিনের বৈঠকে পরিবহণ আধিকারিক, ট্রাক মালিক সমিতি, ব্যবসায়ী সংগঠন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।