উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে অবশ্য মন্তব্য করা থেকে বিরত থেকেছেন জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তারা। তবে বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, জানুয়ারি মাস থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত মালদহে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৯৭১জন। এখনও জেলা জুড়ে প্রায় ৩২জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত অবস্থায় রয়েছেন।
সম্প্রতি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম নেতা হেমন্ত শর্মা। মালদহের একটি নার্সিংহোমে ছিলেন তিনি। অবশ্য এখন অসুস্থতা কাটিয়ে তিনি খানিকটা সুস্থ হয়েছেন বলেই পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোর আগেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে বেশ কিছু দিন ধরে চিকিৎসা চলে তাঁর। এখনও শারীরিকভাবে তিনি যথেষ্টই কাবু রয়েছেন বলে জানিয়েছেন নীহারবাবুর ঘনিষ্ঠরা। ডেঙ্গু ছাড় দেয়নি ইংলিশবাজার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দুলাল সরকারকেও। গত বছরও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। এবারও নীহারবাবুর আগে ডেঙ্গুর কবলে পড়েন তিনি। পরপর দুইবার আক্রান্ত দুলালবাবুর ক্ষেত্রে অবশ্য অসুস্থতার অভিঘাত এবার বেশ কিছুটা কম ছিল।
ইংলিশবাজার পুরসভার দুই শীর্ষ কর্তা আক্রান্ত হলেও, দু’জনেরই দাবি বিগত বছরের তুলনায় পুর এলাকায় ডেঙ্গুর দাপট এবার খানিকটা কম।
নীহারবাবু বলেন, তাঁদের পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পুরসভা এলাকায় গত তিন মাসে ২২ থেকে ২৪জন বাসিন্দা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে তিন-চারজন ছাড়া বাকিরা মোটামুটি সুস্থ বলেই জানা গিয়েছে।
ইংলিশবাজার পুরসভার কাউন্সিলার তথা প্রাক্তন চেয়ারম্যান নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি বলেন, আমার ওয়ার্ডে অনেকেই জ্বরে ভুগছেন। তবে তাঁদের সকলেরই ডেঙ্গু হয়েছে কিনা, তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। অবশ্য এ কথা ঠিক, মানুষের মধ্যে ডেঙ্গু নিয়ে একটা আতঙ্ক রয়েই গিয়েছে।
পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দুলালবাবুর বক্তব্য, আমরা রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা পেয়েছি। প্রতিটি ওয়ার্ডে নিয়মিত ফগিংয়ের কাজ করা হচ্ছে। তবে আমাদের কিছু সমস্যাও রয়েছে। বেশ কিছু ওয়ার্ডে এখনও বৃষ্টির জল জমে রয়েছে। সোমবার পুরসভার চেয়ারম্যান-ইন-কাউন্সিলের বৈঠকে জমা জল দ্রুত সরানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা নিয়মিত স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছি। কিছু মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন বা হচ্ছেন বলে শুনতে পাচ্ছি। তবে পরিস্থিতি ভয়াবহ নয়।
স্বাস্থ্যদপ্তরের পক্ষ থেকে অবশ্য জেলাজুড়ে ম্যাজিক শোয়ের মাধ্যমে ডেঙ্গু ও পতঙ্গবাহিত অন্যান্য অসুখের বিরুদ্ধে প্রচারাভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।