উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিভূতিভূষণ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর আমলে পুর বোর্ড অতিরিক্ত সহায়িকা নিয়োগ করেছে। কিন্তু তাঁর প্রশ্ন, এসএসকে সহায়িকা নিয়োগের বিষয়টি নিয়মমাফিক না হলেও এখনও সেইসব সহায়িকারা বহাল তবিয়তে থেকে গেলেন কীভাবে? এজন্য বিভূতিবাবু বর্তমান পুর বোর্ডকে দায়ী করেছেন। এদিকে বর্তমান চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এসএসকে সহায়িকা নিয়োগ নিয়ে তাঁর সময়ে কোনও অনিয়ম হয়নি। তবে আগে কী হয়েছে তা তিনি বলতে পারবেন না। ফলে সহায়িকা ইস্যুতে কাকা-ভাইপোর তরজা জমে উঠেছে।
এবিষয়ে পুরাতন মালদহ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিভূতিভূষণ ঘোষ বলেন, এসএসকে সহায়িকা নিয়োগ নিয়ে তৃণমূলের বা কংগ্রেসের পুর বোর্ড দায়ী ছিল না। আমি এর আগে কংগ্রেসের পুর বোর্ডেরও চেয়ারম্যান ছিলাম। সেসময়ও কিন্তু এধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। এখন যে পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে, তার দায় বাম পরিচালিত পুর বোর্ড এবং তৎকালীন চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ সুকুলের ওপরই বর্তায়। কারণ ওই সময়ের বোর্ড অনেক বেনিয়ম করেছিল। ২০১৪ সালে যখন আমরা খুব কম সময়ের জন্য পুর বোর্ড দখল করি, তখন অতিরিক্ত সহায়িকা নিয়োগ হয়েছিল, একথা ঠিক। তখন উন্নয়নের স্বার্থে আমরা তাঁদের সরাতে পারিনি। কিন্তু এখনও তো তাঁরা বহাল তবিয়তে রয়েছে। কেনই বা তাঁদের এখনও সরানো যায়নি, সেটা বর্তমান চেয়ারম্যানই বলতে পারবেন। এটা তাঁরই জবাব দেওয়া উচিত।
এবিষয়ে পুরাতন মালদহ পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ বলেন, প্রথম তৃণমূল বোর্ডে যে নিয়মে সহায়িকা নিয়োগ করা হয়েছিল, সেই নিয়মই এখনও চলে আসছে। নিয়োগ নিয়ে যে পুর বোর্ডে অনিয়ম হয়েছে তারাই এবিষয়ে ভালো বলতে পারবে। তবে আমার সময়ে সহায়িকা নিয়োগ নিয়ে কোনও প্রকার দুর্নীতি হয়নি। একেবারে স্বচ্ছভাবে পুরসভার সমস্ত কাজকর্ম চলছে।
পুরাতন মালদহ পুরসভার প্রাক্তন বাম চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ সুকুল বলেন, আমার সময়ে সরকারি সার্কুলার মেনেই বেশ কিছু ওয়ার্ডে সহায়িকা নিয়োগ করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের বয়স ৪০ বছরের কম ছিল। কারণ নিয়ম মতো ৪০ বছরের ঊর্দ্ধে সব এসএসকেতে সহায়িকা পাওয়া যায়নি। পরে বিভূতিভূষণ ঘোষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বেশ কিছু সহায়িকাদের বসিয়ে দেন। বর্তমান পুর বোর্ডও তাঁদের বহাল করেনি। তিনি যে কথাটা বলছেনল তা ভিত্তিহীন। আমি বেআইনি কিছু করিনি।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল পরিচালিত প্রথম পুর বোর্ড কর্তৃপক্ষ তৎকালীন বাম পুর বোর্ডের নিয়োগ করা সহায়িকাদের অবৈধভাবে নিয়োগ করা হয়েছে বলে ৩৯ জনকে সরিয়ে দেয়। তারা মোট ১০০ জনের তালিকা অনুমোদনের জন্য সরকারের কাছে পাঠায়। সেই তালিকা অনুমোদন পেলে বেতন পাওয়া শুরু হয়। পরবর্তীতে এডুকেশন কমিটির মাথায় বসে কাউন্সিলাররা চেয়ারম্যানের তত্ত্বাবধানেই নিয়ম বহির্ভূতভাবে বেশ কিছু এসএসকেতে নিয়োগ করেন। ফলে সহায়িকাদের বেতন ভাগাভাগি করে দেওয়া শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে ভাইপো কার্তিক ঘোষ ক্ষমতায় এলেও কাকার আমলে নিয়োগ হওয়া অতিরিক্ত সহায়িকারা কিন্তু থেকেই যান।