উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
সরকারি হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসার একটা বড় অংশ বিনামূল্যে দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। ডাক্তারের ফি লাগে না। অনেক ওষুধ, স্যালাইন হাসপাতাল থেকেই দেওয়া হয়। পথ্য মেলে। এজন্য হাসপাতালে রোগীর ভিড় থাকে সবসময়। এখানে চিকিৎসার জন্য রোগীদের সেভাবে কোনও খরচ না হওয়ার কথা না থাকলেও আয়া মাসিদের দৌরাত্ম্যে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরেই রোগীদের টাকা দিতে হচ্ছে। কোন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলেই প্রথমে ১০০ টাকা আয়াদের দিতে হয় সারাদিনের জন্য। রাত ও দিনের জন্য দু’জন করে আয়া রাখতে হয়। একেক জনকে ১০০ টাকা করে দিতে হয়। টাকা নিলেও অভিযোগ, আয়ারা রোগীদের সেভাবে দেখভাল করে না। কিছু বললেই রোগী ও পরিবারের লোকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করে তারা। অনেক সময় আয়াদের বিরুদ্ধে গালিগালাজ করার অভিযোগও ওঠে। রাতে কোনও রোগীর অবস্থা সংকটজনক হলেও আয়াদের খোঁজ পাওয়া যায় না। তারা একসঙ্গে দু’-তিনটি রোগী নিয়ে থাকেন। এদিকে নার্সদের অনেক কাজই এই আয়া মাসিরা করে দেয়। নার্সদের একাংশ ফাঁকিবাজি দিয়েই ডিউটি করে যাচ্ছেন। এনিয়ে রোগী ও তাদের পরিবারের ক্ষোভের অন্ত নেই।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সব জেনেও চুপ করে বসে রয়েছে বলে অভিযোগ। বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার বলেন, বালুরঘাট হাসপাতাল ঘুঘুর বাসায় পরিণত হয়েছে। কোনও রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলে তাঁদের বিভিন্ন ভাবে প্রতারণা করে টাকা আদায় করা হচ্ছে। প্রশাসন সবকিছু জেনেও চুপ। এতে গ্রামের গরিব মানুষেরা বেশি সমস্যায় পড়ছেন। এনিয়ে পদক্ষেপ করার দাবিতে আমরা আন্দোলনে নামব।
এনিয়ে হাসপাতালের সুপার তপন বিশ্বাস বলেন, হাসপাতালে আয়া রাখার কোনও নির্দেশিকা নেই। আমরা চাপে পড়ে আয়া মাসিদের রাখতে বাধ্য হচ্ছি। তবে রোগীর বা তাঁর পরিবারের লোকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার বা টাকার জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। রোগীর সঙ্গে পরিবারের একজন লোক থাকতে পারার নির্দেশিকা জারি করা আছে। কেউ রোগীর সঙ্গে থাকতে চাইলে আমাদের কাছে আবেদন করলে আমরা অনুমতি দিয়ে থাকি। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে রাতে থাকার মতো রোগীর পরিবারের কেউ থাকে না। তারা আয়াদেরই খোঁজে। বালুরঘাট হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান অর্পিতা ঘোষ বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।