উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
এব্যাপারে ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার (বাবলা) বলেন, আমার ওয়ার্ডে পুর পরিষেবা নিয়ে বেশ কিছু সমস্যা স্থায়ীভাবে রয়ে গিয়েছে। বারবার বলা সত্ত্বেও চেয়ারম্যান সেসব সমস্যার কোনও সমাধান করেননি। ফলে ওয়ার্ডের বাসিন্দারা চরম কষ্টে রয়েছেন। আমি তাঁদের সামনে দাঁড়াতে পারি না। ওইসব সমস্যার কথা সিআইসি বৈঠকে তুলে ধরব। আশা করি চেয়ারম্যান এবার সেসব সমাধানে উদ্যোগী হবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিআইসি’র আরও এক সদস্য বলেন, নিকাশি ও জঞ্জাল সমস্যায় শহরবাসী নাজেহাল হয়ে পড়েছেন। ওয়ার্ডের ভিতরে রাস্তাঘাটের অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়। বেশিরভাগ ওয়ার্ডে পথবাতি জ্বলে না। জাতীয় সড়ক, শহরের উড়ালপুল, মহানন্দা সেতু ইত্যাদি সন্ধ্যার পর অন্ধকারে ঢেকে যায়। সেসব এলাকা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে শহরের বাসিন্দারা সমস্যায় পড়েন। নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন। এতদিন ধরে কোনও বৈঠক না হওয়ায় সমস্যার কথা চেয়ারম্যানকে ‘অফিশিয়ালি’ বলা সম্ভব হয়নি। অন্যান্য সময়ে আমি তাঁকে জানানোর চেষ্টা করলেও চেয়ারম্যান গুরুত্ব দেননি। এবার সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে হবে। চেয়ারম্যানকে ছেড়ে দেওয়া যাবে না।
এদিকে সিআইসি’র বৈঠকে কী পরিস্থিতি হতে পারে তা নিয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল চেয়ারম্যান। চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলদের তোলা অভিযোগের জবাবে নীহারবাবু বলেন, আমরা সম্প্রতি বেশ কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয়ে নিকাশি নালা সংস্কার করেছি। পথবাতিও মেরামত করে দিয়েছি। শহরে বেশিরভাগ রাস্তা এখন ঝাঁ চকচকে। তারপরেও কাউন্সিলাররা নিজের নিজের ওয়ার্ডের সমস্যার কথা আমাকে জানাতেই পারেন। সেটা তাঁদের অধিকার। বিষয়টি এভাবে দেখা উচিত নয়।
পাশাপাশি চেয়ারম্যান বলেন, পুরসভার চেয়ারম্যান হিসাবে নাগরিকদের সুষ্ঠু পরিষেবা দেওয়া আমার কর্তব্য ও দায়িত্ব। কিন্ত সিআইসিরাও তো তা বলে দায় এড়াতে পারেন না। শহরবাসীকে সুষ্ঠু পরিষেবা দেওয়ার দায়িত্ব কিন্তু তাঁদেরও।
উল্লেখ্য, ইংলিশবাজার পুরসভাকে কেন্দ্র করে বিতর্কের শেষ নেই। বেহাল নাগরিক পরিষেবা, দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের নানা অভিযোগে পুর কর্তৃপক্ষ জেরবার হয়ে রয়েছে। অভিযোগ, পুরকর্তাদের উদাসীনতার সুযোগ নিয়ে কর্মী-আধিকারিকরাও গা-ছাড়া মানসিকতা নিয়ে চলেন। বিনা নোটিশে এগজিকিউটিভ অফিসার, ফিনান্স অফিসারদের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীরা অফিসে গরহাজির থাকেন। আধিকারিকদের একাংশ খেয়ালখুশি মতো অফিসে যাতায়াত করেন। কর্মক্ষেত্রে তাঁদের গড়িমসির ফল ভোগ করতে হয় সাধারণ শহরবাসীকে। সামান্য কাজ নিয়ে বারবার পুরসভায় যেতে হয়। পুর কর্তারা নিজেদের মধ্যে খেয়াখেয়িতে ব্যস্ত থাকায় আধিকারিকদের তাঁরা আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না বলে সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি।
এদিকে, দল পরিচালিত পুরসভার উপর তৃণমূলের নিয়ন্ত্রণও কার্যত নেই বললেই চলে। পুজোর আগে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে সই করা শাসক দলের কাউন্সিলাররা মালদহের তৃণমূল নেতৃত্বকে কার্যত পাত্তাই দেননি। জল অনেক দূর গড়ায়। পরে হস্তক্ষেপ করতে হয় রাজ্য নেতৃত্বকে। রাজ্য নেতৃত্বের অনুরোধে দলের বিদ্রোহী কাউন্সিলাররা আস্থা ভোট ডাকার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন। এব্যাপারে জেলা তৃণমূল নেতা তথা ভাইস চেয়ারম্যান বাবলাবাবু বলেন, জেলা সভানেত্রী মৌসম নুর পুরসভা সংক্রান্ত দলীয় কমিটির মাথায় রয়েছেন। তিনি কমিটির প্রধান হওয়ায় সমস্যা ও জটিলতা দ্রুত মিটে যাবে বলে আমরা আশাবাদী।