উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
জেলাশাসক নিখিল নির্মল বলেন, প্রশাসন সর্বদা সজাগ রয়েছে। জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তর যৌথভাবে অভিযান চালাচ্ছেন। অভিযানের গতি আরও বাড়ানো হবে। ডেপুটি সিএমওএইচ-২ কিশলয় দত্ত বলেন, গুটখা ও জর্দা মেশানো পানমশালা দ্রব্য বিক্রি বন্ধ করতে ইতিমধ্যে আমাদের আধিকারিকরা ময়দানে নেমেছেন। ব্লকেও অভিযান চলবে।
গ্রামগঞ্জে প্রকাশ্যে দোকানের সামনে গুটখা, জর্দা মেশানো পানমশালা বিক্রি চলছে। শহরে জনবহুল এলাকায় তা খানিকটা লুকিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। কিছু ব্যবসায়ী আবার সুযোগ বুঝে প্যাকেটের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সেগুলি বিক্রি করছে। এনিয়ে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জেলাজুড়ে কোনও অভিযান চোখে পড়ছে না। অভিযোগ উঠেছে, এনিয়ে প্রশাসনের সেরকম তৎপরতা না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা সরকারি নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আগের মতোই অবাধে এইসব নিষিদ্ধ সামগ্রী বিক্রি করে চলেছে।
এনিয়ে বালুরঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হরেরাম সাহা বলেন, সরকারি নির্দেশকে অমান্য করা ঠিক নয়। যদি কোনও ব্যবসায়ী এমনটা করে থাকেন তবে তাদের শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। প্রশাসনকে আরও সজাগ হতে হবে। অভিযান বাড়াতে হবে যাতে। তবেই এসব একেবারে বন্ধ করা সম্ভব হবে। প্রশাসন পদক্ষেপ করলে সংগঠন অসাধু ব্যবসায়ীর পাশে থাকবে না।
সরকার এরাজ্য গুটকা ও জর্দা মেশানো পানমশলা বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে অবাধে তার বিক্রি হচ্ছে। গ্রামগঞ্জের অধিকাংশ দোকানে প্রকাশ্যই এসব বিক্রি হচ্ছে। ওইসব দোকানদার সঙ্গে কথা বলে জানা গেল তাদের অনেকেই গুটখা ও জর্দা মেশানো পানমশলা বিক্রি বন্ধের কথা জানেন না। কয়েক জন আবার বলেন, এসব নেশার জিনিস। এর উৎপাদন বন্ধ না করে বিক্রি বন্ধ করা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। তবে সাধারণ মানুষের অনেকেই বলছেন, প্রশাসনিক উদ্যোগ থাকলে স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক যে কোনও জিনিসের বিক্রি বন্ধ করা সম্ভব। পাশাপাশি এনিয়ে সচেনতার প্রচারও করতে হবে। তবে সরকার এসব বিক্রি বন্ধ করলেও এনিয়ে সেরকম প্রচার বা অভিযান চোখে পড়ছে না। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। এনিয়ে প্রশাসনের কড়া অবস্থান নেওয়া উচিত।