উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
ওদলাবাড়িরর একটি পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের সম্পাদক সুজিত দাস বলেন, বারবার করে বলার পরেও অনেক চা বাগান এখনও ব্লেড তার দিয়ে লাগানো বেড়া খুলছে না। অবিলম্বে ওসব বাগানের বিরুদ্ধে বনদপ্তরের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। শিলিগুড়িরর একটি প্রকৃতিপ্রেমী সংগঠনের কো-অর্ডিনেটর অনিমেষ বসু বলেন, এভাবে ব্লেড তার দিয়ে বেড়া লাগানোর ফলে অনেক হাতি, চিতাবাঘ, হরিণ, বুনো শুয়োর জখম হচ্ছে। জঙ্গলের মধ্যে জখম বন্যজন্তুর মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। অবিলম্বে ওসব ব্লেডের তারের বেড়া চা বাগান কর্তৃপক্ষকেই খুলে ফেলা উচিত।
ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরী বলেন, আমি নিজে বেশ কয়েকটি চা বাগানে ব্লেড তার দিয়ে বেড়া লাগানো দেখেছি। যাতে ওসব চা বাগানের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে সেব্যাপারে বনমন্ত্রীকে বলেছি। আমার ওসব বাগান মালিকদের এরমধ্যেই ওসব বেড়া খুলে ফেলতে বলব। তারা কোনও পদক্ষেপ না নিলে আইনি পথেই হাঁটতে হবে।
চা বাগান মালিকরা এনিয়ে কেউ মুখ না খুললেও মালিক সংগঠন ডিবিআইটিএ’র চেয়ারম্যান সুমন্ত গুহ ঠাকুরতা বলেন, বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নেব। তবে এমনটা কেউ করে থাকলে ঠিক হচ্ছে না।
জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলাতেই রয়েছে গোরুমারা, জলদাপাড়া, বক্সা টাইগার রিজার্ভের মতো বনাঞ্চল। ওসব বনাঞ্চলের আশেপাশে প্রচুর চা বাগান রয়েছে। ওই চা বাগানে যাতে বন্যপ্রাণী এমনকি গৃহপালিত পশু ঢুকতে না পারে সেজন্য একাংশ বাগান কর্তৃপক্ষ ব্লেডযুক্ত তারের বেড়া লাগিয়ে দিয়েছে। খাওয়ারের খোঁজে বন্যপ্রাণী সহ গৃহপালিত পশু বেড়া পেরতে গিয়ে আক্রান্ত হচ্ছে। তাদের শরীরে ক্ষত তৈরি হচ্ছে। ওই কাটা জায়গা থেকে শরীরে সংক্রমণ হয়ে প্রাণীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এনিয়ে পরিবেশপ্রেমী সহ বনদপ্তর নানাভাবে অতীতে প্রচার চালিয়েছে। তারপরেও বহু জায়গায় এখনও ব্লেডযুক্ত তারের বেড়া খোলা হয়নি।
প্রসঙ্গত আলিপুরদুয়ার জেলার সংকোশ থেকে দার্জিলিং জেলার পানিট্যাঙ্কের কাছে নেপালের মেচি নদী পর্যন্ত হাতির বেশকিছু করিডর রয়েছে। হাতির দল ওসব করিডর দিয়ে সারা বছর যাতায়াত করে। চা বাগানে হাতি ঢুকলে বাগানের গাছ নষ্ট হয়। তাই হাতি আটকতেই মূলত একাংশ বাগান কর্তৃপক্ষ ব্লেড তার দিয়ে বাগান ঘিরে দিয়েছে। এতে শুধু হাতিই নয়, বন্য অন্যান্য জন্তুও জখম হচ্ছে।