হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান আলি ও আজিজুল ইসলাম বলেন, আমরা চাষ করে খাই। উৎপাদিত ফসল মালবাজারে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করি। শীতে সমস্যা সমস্যা হয় না। কারণ তখন নদীতে জল থাকে না। কিন্তু বর্ষার সময় আমাদের নৌকা করেই এই নদী পারাপার করতে হয়। সেতুর কথা আমরা চল্লিশ বছর ধরে শুনে আসছি। জানি না এখানে সেতু কবে হবে।
এলাকার সিপিএম নেতা রিয়াজ চৌধুরি বলেন, গ্রামের সকলকে নানা কাজে মালবাজারে যেতেই হয়। কেননা প্রশাসনের সমস্ত দপ্তর রয়েছে চেল নদীর ওপারে, মালবাজারে। সেখানে যেতে হলে নৌকাই ভরসা সকলের। এলাকার বিজেপি নেতা কিশোর বিশ্বাস বলেন, বাম জমানাতেও সেতু হল না। বর্তমান সরকারও এনিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না। ওই নদীর উপর সেতু তৈরি করা ভীষণ প্রয়োজন। তৃণমূলের ক্রান্তি সাংগঠনিক ব্লকের সভাপতি শ্যামল বিশ্বাস বলেন, আমরা চেল নদীর উপর সেতু বানাবার জন্য একটা প্রস্তাব প্রশাসনের কাছে পাঠিয়েছি। যতদিন সেটার অনুমোদন না মিলছে ততদিন আরও একটি নৌকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
ব্লকের ক্রান্তি, চ্যাংমারি, মৌলানি, রাজাডাঙা, লাটাগুড়ি ও চাপাডাঙা এই ছয়টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা রয়েছে চেলনদীর ওপারে। এই ছয়টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার আশি শতাংশ মানুষই কৃষক। সকলেই ফসল ফলিয়ে মালবাজারে বিক্রি করতে নিয়ে যান। কিন্তু সমস্যা বাড়াচ্ছে চেল নদী। এছাড়া প্রচুর সংখ্যক ছাত্রছাত্রী মালবাজারের স্কুল ও কলেজে পড়তে আসে। মাল থানা, এসডিও, বিডিও অফিস এমনকী বিএলএলআরও সহ নানা প্রশাসনিক দপ্তর রয়েছে মালবাজারে। তাই এলাকার বাসিন্দাদের নিজস্ব প্রয়োজনে মালবাজারে প্রতিদিন যাতায়াত করতেই হয়। কিন্তু দুর্ভোগ ঘোচে না।