সামাজিক কর্মে সম্মান লাভ। স্ত্রী’র শরীর-স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। দেরীতে অর্থপ্রাপ্তি। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, লাহোরে ইমরানের একটি সভা ছিল। সেখানে তাঁর বক্তৃতায় রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ থেকে তেল কেনার প্রসঙ্গ ওঠে। তখনই স্লোভাকিয়ার ব্রাতিস্লাভা ফোরামে জয়শঙ্করের বক্তৃতার একটি অংশ শোনান তিনি। তাতে মার্কিন চাপ সত্ত্বেও রাশিয়ার থেকে কম দামে তেল কেনার ব্যাপারে ভারতের অবস্থান দৃঢ়ভাবে তুলে ধরেছিলেন বিদেশমন্ত্রী। সেই প্রসঙ্গ টেনে ইমরান বলেন, ‘রাশিয়ার থেকে তেল না কেনার জন্য ভারতকে নির্দেশ দিয়েছিল আমেরিকা। কৌশলগত দিক থেকে ভারত-আমেরিকা বন্ধু। কিন্তু, পাকিস্তান সেই জায়গায় পৌঁছতেই পারেনি। আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার পাল্টা জয়শঙ্কর বলেছেন, বারণ করার তুমি কে? সেইসঙ্গে তিনি সাফ জানিয়েছেন, রাশিয়ার থেকে গ্যাস কিনছে ইউরোপ। দরকার পড়লে আমরাও কিনব।’ এরপরই ভারতের প্রশংসা করে ইমরান বলেন, ‘এই হল স্বাধীন দেশ।’
এদিন সভামঞ্চ থেকে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সরকারকেও নিশানা করেছে ইমরান। সেক্ষেত্রেও ভারতের বিদেশি নীতিকেই হাতিয়ার করেছেন তিনি। প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘ভারতের সঙ্গে একই সময় স্বাধীনতা পেয়েছিল পাকিস্তান। ওরা নিজেদের মতো করে নীতি প্রণয়ন করতে পারে এবং সেই অবস্থানে দৃঢ় থাকতে পারে। কিন্তু, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সরকার দোলাচলে রয়েছে।’ ইমরান আরও বলেন, ‘আমাদের সরকারের সময় রাশিয়ার থেকে কম দামে তেল কেনার ব্যাপারে কথাবার্তা হয়েছিল। দেশে মানুষ দারিদ্র্যসীমার নীচে চলে যাচ্ছে। তেল অগ্নিমূল্য। কিন্তু, আমেরিকার চাপ অগ্রাহ্য করে শাহবাজ সরকার সস্তায় তেল কেনার সাহস দেখাতে পারল না।