শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
কৃষকদের ক্ষোভের কারণে হরিয়ানার বিজেপি সরকার এমনিতেই ব্যাকফুটে। কেন্দ্রের মোদি সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কৃষকদের দিল্লিযাত্রা আটকানো হয়েছিল। তার ফল হয়েছে বিপরীত। ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলে’র লক্ষ্যে দু’মাস আগে মনোহর লাল খট্টরকে সরিয়ে নায়েব সিং সাইনিকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসায় গেরুয়া শিবির। কিন্তু ক্ষোভের আগুন যে দাবানলে পরিণত হয়েছে, তার প্রমাণ মিলল এদিন রোহতকে। সাংবাদিক বৈঠক করে তিন নির্দল বিধায়ক জানান, ‘আমরা বিজেপির পাশ থেকে সরে কংগ্রেসকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কৃষক অসন্তোষ সহ বিভিন্ন ইস্যুতে আমাদের এই সিদ্ধান্ত। লোকসভা ভোটেও কংগ্রেসের হয়ে প্রচারও করব আমরা।’ সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দার সিং হুডা ও প্রদেশ সভাপতি উদয় ভান। একটি সূত্রের দাবি, সাইনি মন্ত্রিসভায় জায়গা না পেয়েই সমর্থন প্রত্যাহারের পথে হাঁটলেন ওই তিন নির্দল বিধায়ক।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি উদয় ভান জানিয়েছেন, হরিয়ানা বিধানসভায় (৯০ সদস্যের মধ্যে) বর্তমানে ৮৮ জন রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৪০ জন বিজেপির বিধায়ক। জেজেপি ও নির্দল বিধায়কদের সমর্থন ছিল সরকারের দিকে। তারা সরে যাওয়ায় নায়েব সিং সাইনির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার বর্তমানে সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে। আর এক মিনিটের জন্যও ওঁর মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার অধিকার নেই।
বিপাকে পড়ে কংগ্রেসকে দুষছেন সাইনি। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। কিছু লোকের ইচ্ছাপূরণে কংগ্রেস কলকাঠি নাড়ছে।’ যদিও বর্তমানে তাদের কাছে ৪৭ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের।