শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
ওয়াইএসআরসিপির দুর্গ এই কাডাপা। অথচ একসময় এই লোকসভা কেন্দ্র ছিল সিপিআইয়ের শক্ত ঘাঁটি। বামেদের এখান থেকে উৎখাতের নেপথ্য কারিগর একজনই— ওয়াই এস রাজাশেখর রেড্ডি। জগন্মোহন ও শর্মিলার বাবা। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত কংগ্রেসের টিকিটে চারবার লোকসভা ভোটে জয়ী হন তিনি। পরের দু’দফায় কাডাপায় জেতেন তাঁর ভাই, বিবেকানন্দ রেড্ডি। ২০০৯ সালে এই আসনে জিতে জগন কংগ্রেস সাংসদ হন। বিদায়ী সাংসদ ওয়াই এস অবিনাশ রেড্ডিও সম্পর্কে জগনের ভাই। এবারেও তিনি ওয়াইএসআরসিপির প্রার্থী।
এই ইতিহাস অজানা নয় কংগ্রেসের। অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঙে তৈরি হওয়া তেলেঙ্গানায় এখন তারা ক্ষমতায়। এবার কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে কাডাপায় হাতশিবিরের ভরসা ওয়াই এস আর কন্যা শর্মিলা। আর তিনিও প্রতিটি নির্বাচনী র্যালি, প্রচারে আক্রমণ শানাচ্ছেন দাদা জগন্মোহন, অবিনাশের বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বন্ধু প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি) সুপ্রিমো চন্দ্রবাবু নাইডুও রেহাই পাচ্ছেন না। প্রতিটি সভা, র্যালিতেই উপচে পড়ছে ভিড়। দক্ষিণের এই রাজ্যে ঘুরে দাঁড়াতে তা ভরসা জোগাচ্ছে কংগ্রেসকে। দলের চকরামপেটের নেতা সুব্বা রেড্ডির কথায়, ‘এবারের ভোটে ওয়াই এস আরের নাম, জনসমর্থনের সুফল জগন একা তুলতে পারবেন না। সামনে স্বীকার না করলেও বোনের এই দাপটকে ভয় পাচ্ছেন উনি।’ ভোট-অঙ্কের বিচারে সংখ্যালঘু খ্রিস্টানদের ভোটও আসতে পারে শর্মিলার ঝুলিতে। কাজে লাগতে পারে ধর্ম প্রচারক স্বামী অনিল কুমারের জনপ্রিয়তা।
অবিনাশ অবশ্য এক ইঞ্চি জমিও ছাড়ছেন না। বিবেকানন্দ রেড্ডি হত্যা মামলায় নাম জড়ানোয় তিনি কিছুটা বিপাকে। তবে তাঁকে ক্লিনচিট দিয়েছেন জগন। স্থানীয় নেতা শিবপ্রসাদ রেড্ডির মতে, ‘শর্মিলার সঙ্গে কাডাপার রাজনীতির কোনও যোগ নেই। এতদিন কেউ তাঁর দেখা পাননি। এখন বাবার নামে ভোটে লড়তে এসে হাজির হয়েছেন। মানুষ এই দ্বিচারিতা মেনে নেবে না।’
পারিবারিক এই অশান্তির মধ্যেই একমনে জয়ের অঙ্ক কষছেন চন্দ্রবাবুর দলের প্রার্থী চাদিপিরাল্লা ভূপেশ সুব্বারামি রেড্ডি। চলতি নির্বাচনে বিজেপি ও পবন কল্যাণের জনসেনা পার্টির সঙ্গে জোট গড়েছে টিডিপি। বিরোধী ভোট এক ছাতার তলায় এনে তারা জয়ের বিষয়ে আশাবাদী। দলের নেতা চেন্নিয়া রেড্ডির কথায়, ‘এত বছর ধরে কাডাপার তেমন কোনও উন্নয়নই করেনি ওয়াই এস আর পরিবার। এবার ছবিটা বদলাবে। আর ভাই-বোনের পারিবারিক ঝগড়ায় রাজ্যের মানুষ ক্লান্ত। ভূপেশকে জিতিয়ে মানুষ ওঁদের জবাব দেবে।’
সত্যিই কি তাই হবে? ১৯৮৯ সালের পর ফের তৈরি হবে ইতিহাস? উত্তর মিলবে ৪ জুন। ইভিএমে।