রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, ১৩ এপ্রিল, শনিবার অযোধ্যা থেকে দিল্লির উদ্দেশে যাত্রা করে বিমানটি। কিন্তু রাজধানীর আবহাওয়া খারাপ থাকায় চণ্ডীগড়েই জরুরি অবতরণ করাতে বাধ্য হন পাইলট। কিন্তু যাত্রীদের অভিযোগ, বিমানটিতে আদৌ দিল্লি পৌঁছনোর জন্য পর্যাপ্ত জ্বালানি ছিল না। এই ঘটনার পরই নিন্দার ঝড় উঠেছে। অধিকাংশ যাত্রীর অভিযোগ, ইন্ডিগো আদতে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (এসওপি) লঙ্ঘন করেছে। যাত্রীদের এই অভিযোগকে সমর্থন করেছেন এক প্রাক্তন পাইলটও। প্রাক্তন পাইলট শক্তি লাম্বা ডিজিসিএ তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন। যদিও চাপের মুখে পড়ে ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষের দাবি, গন্তব্যস্থলে পৌঁছনোর জন্য বিমানটিতে পর্যাপ্ত জ্বালানি ছিল। সেইসঙ্গেই তাঁরা জানান, সেসময় বিমানের পাইলট যে পদক্ষেপ নেন, তা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি মেনেই নেওয়া হয়েছে।
যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (ক্রাইম) সতীশ কুমার। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেন।
শনিবার বিকেল ৩টে ২৫ মিনিটে অযোধ্যা থেকে উড়ে যাওয়ার কথা ছিল বিমানটির। সাড়ে ৪টের মধ্যেই দিল্লি অবতরণের কথাও জানানো হয়। কিন্তু সতীশ কুমারের অভিযোগ, পাইলট বিকাল ৪টে ১৫ নাগাদ যাত্রীদের জানান, বিমানে আর ৪৫ মিনিটের জ্বালানি রয়েছে। এরপরই যাত্রী এবং বিমানকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপরও প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে আকাশে চক্কর কাটে বিমানটি। অবশেষে চণ্ডীগড়ে জরুরি অবতরণের কথা জানান পাইলট। তবে সতীশ কুমারের মতে এটি আদতে ‘সময় নষ্ট’ ছাড়া আর কিছু নয়। শেষপর্যন্ত সন্ধে ৬টা ১০ নাগাদ চণ্ডীগড়ের মাটি ছোঁয় বিমানটি। সেসময় আর মাত্র ১ থেকে ২ মিনিটের জ্বালানি অবশিষ্ট ছিল। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা। যদিও ইন্ডিগোর তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, বিমানে সর্বদা নিয়ম মেনে পর্যাপ্ত জ্বালানি সংরক্ষণ করা হয়। জরুরি পরিস্থিতিতে বিকল্প বিমানবন্দরে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত জ্বালানি বিমানে ছিল বলেও জানিয়েছে ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ।