রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
খেতড়ি বাসস্ট্যান্ডের একেবারে লাগোয়া বিবেকানন্দ স্মৃতি মন্দির। বাস থেকে নেমে প্রায় প্রতি যাত্রীই একবার এই রাজবাড়ির দিকে তাকিয়ে নমস্কার করছেন। যদিও এখন আর রাজবাড়ি নেই। রামকৃষ্ণ মিশনের একটি কেন্দ্র। খেতড়ির রাজা অজিত সিংয়ের অনুরোধেই স্বামীজি ফতেহ বিলাস প্রাসাদে পদধূলি দিয়েছিলেন। একবার নয়, তিনবার। বিবেকানন্দর শিকোগা যাওয়ার খরচের অনেকাংশ দিয়েছিলেন অজিত সিংই। এমনকী স্বামীজির মাথার যে পাগড়ি, তাও খেতড়ির রাজার পরামর্শে বলেই জানা যায়।
বিবেকানন্দ স্মৃতি মন্দিরের সচিব তথা মিশনের এই সেন্টারের প্রধান স্বামী আত্মনিষ্ঠানন্দজি (যিনি সপ্তর্ষি মহারাজ বলেই পরিচিত) জানালেন, স্বামীজির সঙ্গে খেতড়ির রাজার আলাপ হয়েছিল মাউন্ট আবুতে। স্বামীজি তখন পদব্রজে ভারত ভ্রমণে। রাজার অনুরোধে ১৮৯১ সালের ৭ আগস্ট প্রথমবার এসেছিলেন খেতড়িতে। ছিলেন ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত। এরপর ১৮৯৩-তে শিকাগো যাওয়ার কিছুদিন আগে। নবজাতক রাজপুত্র জয় সিংকে আশীর্বাদ করতে। তারপর ১৮৯৭। শিকাগো ফেরত স্বামীজিকে দেওয়া হয়েছিল সংবর্ধনা। পরে রাজপরিবার থেকে এই প্রাসাদ দান করা হয় রামকৃষ্ণ মিশনকে। ২০১২ সালে ছাদের ওপর নতুন করে তৈরি হয় শ্রীরামকৃষ্ণ মন্দির। ফতেহ বিলাসের যে ঘরে স্বামীজি থেকেছিলেন, সেই ঘর ধ্যানের জন্য রাখা আছে।’ বিবেকানন্দ স্মৃতি মন্দিরের কোনও প্রভাব এলাকার নির্বাচনে রয়েছে? জানতে চাওয়ায় মিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীরা কোথাও ভোট দেন না। জড়ান না রাজনীতিতে। মিশনের কাজ হল স্বামীজির নির্দেশে মানুষ গড়ে তোলা। খেতড়িতে রয়েছে মিশনের স্কুল। চোখের হাসপাতাল। সেলাই শিক্ষাকেন্দ্র। তবে মিশনের ভোট না মিললেও প্রভাব যে রয়েছে, প্রমাণ পেলাম স্মৃতি মন্দিরের অ্যালবামে। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন এখানে এসেছেন অশোক গেহলট। সংস্কারের জন্য দিয়েছেন দেড় কোটি টাকা। এসেছেন নরেন্দ্র মোদিও। ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর। পরের বছরই তিনি হন দেশের প্রধানমন্ত্রী।