ব্যবসায়ে যুক্ত হলে এই মুহূর্তে খুব একটা ভালো যাবে না। প্রেম প্রণয়ে বাধা। কারও সাথে ... বিশদ
ইতালির বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে মৃতের সংখ্যা যা বলা হচ্ছে, বাস্তবে তার পাঁচ গুণ মানুষ মারা গিয়েছেন। স্পেনে মারা গিয়েছেন ৪ হাজার ৯০০ জন। ইতালির পর স্পেনেই বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, শনিবার দুপুর পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৮ হাজার ২৩০ জন। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৬ লক্ষ। ইতালিতে এদিনও মৃতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। শুধু শুক্রবারেই সেখানে মৃতের সংখ্যা ছিল এক হাজারের কাছাকাছি (৯১৯) জন। যে কোনও দেশে হওয়া মৃত্যুর ক্ষেত্রে এটা রেকর্ড। সর্বমোট মারা গিয়েছেন ৯ হাজার ১৩৪ জন। আক্রান্ত সাড়ে ৮৬ হাজারেরও বেশি মানুষ। এদিন দুপুর পর্যন্ত হিসেব বলছে, স্পেনে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও ৮৩২ জনের। সেদেশে মারা গিয়েছেন মোট ৫ হাজার ৯৬০ জন। মোট আক্রান্ত ৭২ হাজার ২৪৮ জন। শুধু ইউরোপেই সংক্রমণের শিকার হয়েছেন ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ। লক্ষ লক্ষ মানুষ লকডাউনের আওতায়। প্যারিস, রোম, মাদ্রিদের মতো শহরের রাস্তা এখন জনমানবহীন। ইতালির ন্যাশনাল হেল্থ ইনস্টিটিউটের প্রধান সিলভিও ব্রুসাফেরো এতে স্বস্তির কিছু দেখছেন না। তাঁর কথায়, ‘দেশের বিপদ এখনও কাটেনি। আগামী কয়েকদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ফের বাড়তে পারে।’ স্পেনও বলছে, নতুন করে সংক্রমণের হার কয়েকদিন ধরেই নিম্নমুখী। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টার রেকর্ড মৃত্যুমিছিলের পর সংক্রমণ কমার খবরেও স্বস্তি পাচ্ছে না সেদেশের সরকার।
চীনে স্থানীয়ভাবে নতুন করে আর কারও আক্রান্ত হওয়ার খবর নেই। তবে বিদেশ থেকে ফেরা ৫৪ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। এর ফলে গত কয়েকদিনে বিদেশ থেকে ফেরা মোট ৬৪৯ জন আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গেল। পাশাপাশি নতুন করে তিনজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এর ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩ হাজার ২৯৫। নতুন যাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা সকলেই হুবেই প্রদেশ ও তার রাজধানী উহানের বাসিন্দা। ২৩ জানুয়ারি থেকে লকডাউন করে দেওয়া হয় উহান শহরে। তবে এখন ধীরে ধীরে সেখান থেকে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে, ইরানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা আড়াই হাজার ছাড়াল। শনিবার আরও ১৩৯ জন প্রাণ হারানোয় ইরানে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫১৭ জন। দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩ হাজার ৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় নোভেল ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। সব মিলিয়ে ইরানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ হাজার ৪০৮।
করোনার সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে লকডাউনের সময়সীমা ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল বেলজিয়াম সরকার। আপাতত তা ইস্টারের ছুটি পর্যন্ত বহাল থাকবে। ফ্রান্সে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার আরও ২৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে সেখানে মৃত বেড়ে হল ১ হাজার ৯৯৫। তবে বাড়িতে বা অবসরকালীন হোমে মৃতদের পরিসংখ্যান এর মধ্যে নেই।