শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
ইতিমধ্যেই ৪৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার। বুধবার সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের শুরুর দিন ভারত পেট্রলিয়াম, শিপিং কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া, কন্টেনার কর্পোরেশন, তেহরি হাইওয়ে ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন এবং নর্থ-ইস্টার্ন ইলেকট্রিক পাওয়ার কর্পোরেশনের মতো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় বিলগ্নিকরণ অর্থাৎ বেচে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী মার্চ মাসের মধ্যেই সেই কাজ সম্পূর্ণ হবে বলে জানা গিয়েছে। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে মমতা বলেন, আগেও নেওয়া হয়েছে, এবারও বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বেচে আপাতত আর্থিক সমস্যা মিটতে পারে, কিন্তু তা স্থায়ী সমাধান নয়। তৃণমূল বিলগ্নিকরণের বিরুদ্ধে ছিল, আছে, থাকবে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, এবার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রি করে ১ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা তুলতে চাইছে কেন্দ্র। এভাবে কতদিন চলবে? স্থায়ী সমাধান কী? সেসব নিয়েই আলোচনা করতে হবে সর্বদলীয় বৈঠকে।
বিলগ্নিকরণের ক্রমবর্ধমান তালিকায় দৃশ্যত বিরক্ত মমতা বলেন, বারবার বিলগ্নিকরণ করা হলে গোটা দেশই তো বিক্রি হয়ে যাবে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও বিলগ্নিকরণের কথা ভাবা হচ্ছে। কয়েকদিন আগে অর্ডন্যান্স বোর্ড বেসরকারিকরণের কথা বলা হয়েছিল। আমরা এর প্রতিবাদ করেছি। আমাদের শ্রমিক সংগঠন এ নিয়ে আন্দোলন করছে। সংসদের ভিতরে এবং বাইরে আন্দোলন চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, এয়ার ইন্ডিয়া দেশের একটা প্রতীক। সেটাও বেচে দেওয়া হবে। ভারত পেট্রলিয়াম বিলগ্নিকরণের অপেক্ষায়। এখন প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বিলগ্নিকরণ হলে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। রেল বেসরকারিকরণ হলেও তো সাধারণ মানুষের বিপদ, যাত্রী নিরাপত্তা থাকবে কী করে! মমতা বলেন, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে আমরা কিছু কিছু কাজ করেছি, তবে তা বাণিজ্যিকভাবে করা হয়েছে। তাতে কারও কর্মচ্যুতি হয়নি, কেউ বিপদে পড়েনি। তাঁর কটাক্ষ, সব বিক্রি করে দিলে দেশের হাতে থাকবে কী! ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে সংযুক্তিকরণ চলতে পারে। কিন্তু আর্থিক বিপর্যয় ডেকে আনবে, এমন কিছু করা উচিত নয়। তাঁর কথায়, সংযুক্তিকরণের ক্ষেত্রে দেখতে হবে, যেন অফিসার ও কর্মচারীদের কর্মচ্যুতি না হয়।
সংযুক্তিকরণের নামে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ইউবিআই-এর এই রাজ্যের ঝাঁপ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি যে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ, তাও এদিন স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন মমতা। বলেন, রাজ্যের লিড ব্যাঙ্ক ইউবিআইকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। রাজ্য সরকারের অজস্র প্রকল্প এই ব্যাঙ্কের মাধ্যমে চলে। ওই প্রকল্পগুলির ভবিষ্যৎ নিয়েই তো এখন প্রশ্ন উঠছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গোটা দেশে কর্মসংস্থানের রাস্তা বন্ধ। লোক কাজ হারাচ্ছে। আমি ডিজিটাল ইন্ডিয়ার বিরোধিতা করছি না। কিন্তু ক্যাশলেস লেনদেন হলে ছোট ব্যবসা, দোকান, কৃষক এদের চলবে কী করে! এদের কথাও তো ভাবতে হবে।