রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
দীঘর্কালীন গড় বৃষ্টিপাতের তুলনায় এবার দেশে ১০৬ শতাংশ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে। ১৯৭১ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে দেশে গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৮৭ সেন্টিমিটার। তবে পূর্ব, উত্তর-পশ্চিম এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের কিছু অংশের জন্য থাকছে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টির সম্ভাবনা। আগামী মাসে ফের বর্ষার বৃষ্টি সংক্রান্ত পূর্বাভাস জারি করবে আবহাওয়া দপ্তর।
কী কারণে এবার দেশে বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে, সোমবার এক সাংবাদিক বৈঠকে তা বিস্তারিতভাবে জানান কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের ডিজি মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র। এল নিনো দুর্বল হয়ে পড়াই বেশি বৃষ্টিপাতের প্রধান কারণ। জুন মাসে বর্ষা শুরুর সময়ে এল নিনো পরিস্থিতি থাকবে না। সেইসময় ‘এসনো নিউট্রাল’ পরিস্থিতি চলে আসবে। বর্ষাকালের দ্বিতীয়ার্ধে আগস্ট নাগাদ ‘লা নিনা’ পরিস্থিতি হবে। দেশে বৃষ্টির পরিমাণের উপর নেতিবাচক প্রভাব থাকে এল নিনোর। অন্যদিকে, লা নিনা ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে জলের উষ্ণতা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে এল নিনো এবং কম হলে লা নিনা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এর পাশাপাশি ভারত মহাসাগরের ‘ডাইপোল’ পরিস্থিতিও এবার ইতিবাচক থাকবে। এটাও দেশে বেশি বৃষ্টির পক্ষে অনুকূল। উত্তর গোলার্ধে তুষারপাতের পরিমাণ এবার স্বাভাবিকের তুলনায় কম হয়েছে। বৃষ্টিপাতের ক্ষেত্রে এই ঘটনা ইতিবাচক প্রভাব রাখবে বলেই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। গতবার বর্ষাকালের মধ্যে, কয়েকবছর পর এল নিনো পরিস্থিতি শুরু হয়ে যায়। ২০১৬-র পর ২০২৩ সালে ফের শক্তিশালী এল নিনো প্রভাব ফেলেছিল বর্ষার উপর। গতবছর দেশে সার্বিকভাবে গড় বৃষ্টি হয় ৮২ সেন্টিমিটার বা ৮২০ মিলিমিটার। এটা ছিল স্বাভাবিকের প্রায় ৯৪ শতাংশ। তার আগের চারবছর দেশে বৃষ্টিপাত প্রায় স্বাভাবকি ছিল। গতবছর বর্ষাকালের সময় ভারত মহাসাগরে ডাইপোল পরিস্থিতি ছিল ইতিবাচক। এটা না-হলে বৃষ্টির পরিমাণ আরও কম হতো বলে বলে আবহাওয়াবিদরা মনে করেন। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ১৯৫১ থেকে এখনও পর্যন্ত ন’বার এল নিনো পরিস্থিতির পর লা নিনা আসায় দেশে স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এবারও তা হতে চলেছে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।