রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
চালসা মোড়ের দৃশ্য ছিল আক্ষরিক অর্থেই নজরকাড়া। সেখানে মিছিল পৌঁছনোর পর প্রথমে মমতা আদবাসী নাচের তালে পা মেলান। তারপর নিজেই ধামসা বাজানো শুরু করেন। এরকম একটি জনবহুল মোড়ে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী ধামসা বাজাচ্ছেন, আর তাঁর চারপাশে বৃত্তাকারে চলছে আদিবাসী নৃত্য—এমন দৃশ্য থেকে সহজে চোখ ফেরাতে পারেননি কেউই। বরং তালে তালে সেই উদযাপনে শামিল হয়েছেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ। প্রায় আধঘন্টা ধরে চলে এই পর্ব। বহু মানুষকে এমন দৃশ্য মোবাইলে ফ্রেমবন্দি করতে দেখা যায়। মুখ্যমন্ত্রীর পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা বুলুচিক বরাইক। ধামসার তালে হাততালি দিতে দিতে তিনি বললেন, ‘এতো মনে হচ্ছে যেন আমাদের বিজয় সম্মেলনের বাজনা বাজছে। দিদিমণি আজকেই বিজেপির বিদায়ের দামামা বাজিয়ে দিলেন।’
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে ছিল বিজেপির জয়জয়কার। একটিও আসন পায়নি তৃণমূল। গত বিধানসভা নির্বাচনে জোড়াফুল শিবিরের ফল কিছুটা ভালো হলেও অধিকাংশ জায়গা নিজেদের দখলে রাখতে সক্ষম হয় বিজেপি। রবিবার বিকেলে মমতা যেখানে পদযাত্রা করেন, ওই এলাকা আলিপুরদুয়ার লোকসভার নাগরাকাটা বিধানসভার মধ্যে পড়ে। নাগরাকাটায়ও বিজেপি জিতেছিল। তবে এবার উত্তরবঙ্গে পরিস্থিতি অনেকটাই তৃণমূলের পক্ষে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলার বিরোধীদের বিসর্জনের ডাক দিয়েছেন মমতা। আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী প্রকাশচিক বরাইক সেই সুরেই বলেন, ‘ধামসা-মাদলের তালে আর মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আমাদের নেত্রী বিজেপি বিদায়ের বার্তাই দিয়ে গেলেন।’