ব্যবসায়ে যুক্ত হলে এই মুহূর্তে খুব একটা ভালো যাবে না। প্রেম প্রণয়ে বাধা। কারও সাথে ... বিশদ
আদালত সূত্রের খবর, শিয়ালদহ কোর্টের বিচারক জীমূতবাহন বিশ্বাসের এজলাসে এক বৃদ্ধা খুনের রোমহর্ষক মামলার শুনানি একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে থমকে গিয়েছে। ওই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়ে গিয়েছে। বাকি ছিল সওয়ালপর্ব। কিন্তু করোনার জেরে আদালত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেই শুনানি স্থগিত হয়ে যায়। পুলিস ও আদালত সূত্রের খবর, ২০১১ সালের ২৭ জুলাই মানিকতলা থানা এলাকায় একটি আবাসনে ওই বৃদ্ধা নৃশংসভাবে খুন হন। ঘটনার দিন দুপুরে ৯২ বছরের বৃদ্ধা শান্তারানি ভট্টাচার্য ও তাঁর পরিচারিকা ওই ফ্ল্যাটে ছিলেন। কিছুক্ষণ পরে আসেন পেশায় স্কুল শিক্ষিকা শান্তাদেবীর বউমা। বেজে ওঠে ফ্ল্যাটের কলিং বেল। পরিচারিকা দরজা খোলা মাত্রই পাঁচজন সশস্ত্র ব্যক্তি হুড়মুড়িয়ে ফ্ল্যাটে ঢুকে পড়ে। বৃদ্ধা শান্তাদেবীকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। পরে বৃদ্ধার বউমা ও পরিচারিকাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে একটি ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। ঘরের আলমারি ভেঙে সোনা ও নগদ টাকা লুট করে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা। যাওয়ার সময় কেটে দেওয়া হয় টেলিফোনের লাইন। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিস আসে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর জানা যায়, বৃদ্ধাকে শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিস ওই আবাসনের কেয়ারটেকার সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের অধিকাংশের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে। একজনের বাড়ি চাকদহে। মামলাটির শুনানি আপাতত থমকে রয়েছে।
আলিপুর আদালতে দুটি এজলাসে চলছিল দুটি মাওবাদী মামলার শুনানি। সেগুলিও আপাতত স্থগিত। বন্ধ হয়ে গিয়েছে ধর্ষণ সহ কয়েকটি পকসো মামলার শুনানিও। বিশেষ সরকারি আইনজীবী নবকুমার ঘোষ বৃহস্পতিবার বলেন, পরিস্থিতি যে জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে, তাতে কবে আদালত চালু হবে, কবেই বা এইসব মামলার শুনানি শুরু হবে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। তবে এইসব মামলার শুনানি যত দ্রুত নিষ্পত্তি হয়, ততই সরকারের পক্ষে মঙ্গল। অভিযুক্তদের আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য, আমাদের মক্কেলরা জেলে থাকবে, অথচ বিচার পাবে না, সেটা কোনওমতেই সমর্থনযোগ্য নয়। সরকারকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা দরকার।