ব্যবসায়ে যুক্ত হলে এই মুহূর্তে খুব একটা ভালো যাবে না। প্রেম প্রণয়ে বাধা। কারও সাথে ... বিশদ
এখন প্রশ্ন হল, কীভাবে হল এই সংক্রমণ? উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা ওই বাঙালি পরিবার ১৬ মার্চ দিল্লিতে এক করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসে। ওই আক্রান্তকে দিল্লির একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হয়। এই বাঙালি পরিবারকে বলা হয় ১৪ দিনের জন্য গৃহবন্দি থাকতে। পরিবারের সদস্য ২৭ বছরের তরুণী তা না করে সপরিবারে চলে আসেন নদীয়ায়। সেখানে তার কাশি শুরু হওয়ায় স্থানীয় হাসপাতালে দেখান। তার লক্ষণ-উপসর্গ দেখে সন্দেহ হওয়ায় তাঁকে এবং পরিবারের ১৩ জনকে জেলা হাসপাতালে আইসোলেশনে নিয়ে আসে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। তাঁদের মধ্যে উপসর্গ থাকা আটজনের নমুনা পাঠানো হয় পরীক্ষার জন্য। শুক্রবার পাঁচজনের নমুনাই পজিটিভ আসে। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তী বলেন, স্বাস্থ্য দপ্তরের করোনা মোকাবিলার টিমের জন্যই কাশির লক্ষণ দেখামাত্রা মেয়েটি এবং তার পরিবারের সমস্ত লোকজনকে আমরা আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠাতে পেরেছি। না হলে ওরা যে কতজনকে আক্রান্ত করতেন ঈশ্বর জানেন!
এদিকে বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী অশ্বিনী কাপুর এদিন শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রয়াত হয়েছেন। করোনা সন্দেহে তার থুতুর নমুনা সংগ্রহ করে বেলেঘাটা আইডি’র নাইসেড গবেষণাকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। একদিকে যখন এই অবস্থা, অন্যদিকে পিয়ারলেস হাসপাতালে ভর্তি দশম আক্রান্ত বৃদ্ধের শারীরিক অবস্থা একইরকম আশঙ্কাজনক।
স্বাস্থ্যভবন সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত করোনা উপসর্গ এবং রোগীদের সংস্পর্শে আসার সন্দেহে সবশুদ্ধ ২৬৮৯৯ জনকে গৃহবন্দি রাখা হয়েছে। ১০২ জনকে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।