উপার্জন বেশ ভালো হলেও ব্যয়বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। শরীর খুব একটা ... বিশদ
এ বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ অজয় চক্রবর্তী বলেন, ওই টুপির জন্য ওঁদের কাজে অসুবিধা হচ্ছে। তাছাড়া শীত-গ্রীষ্ণ-বর্ষা সবসময় ওই ক্যাপ চুলে এঁটে থাকায় ফাঙ্গাল ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিষয়টি অনেকের কাছে অস্বস্তিকরও বটে। তাই টুপি তুলে নেওয়ার বিষয়ে আমরা মত দিয়েছি। কিন্তু, স্টাফ নার্সদের ক্ষেত্রে কোনওভাবেই রঙিন পোশাক পরা আমরা সমর্থন করছি না। সাদা পোশাকের শুভ্রতার সঙ্গে নার্সদের প্রতি রোগী, বাড়ির লোকজন এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষদের একটি পৃথক মর্যাদার দৃষ্টিভঙ্গি জড়িয়ে রয়েছে। হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য পরিষেবার পরিবেশও অনেক সুন্দর ও শুচি লাগে এই পোশাকের জন্য। রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের নার্সিং শাখার এক কর্ত্রী বলেন, এখন নার্সিং ক্যাপের যা অমর্যাদা হয়, তাতে না থাকাই ভালো। রোগীর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে অশান্তি হলে প্রথম ওই ক্যাপ দেখেই চিহ্নিত করা হয়। এ বিষয়ে তৃণমূলপন্থী প্রোগ্রেসিভ নার্সিং অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান এবং রাজ্য নার্সিং কাউন্সিলের উপদেষ্টা ডাঃ নির্মল মাজি বলেন, আমরা সরকারের কাছে নার্সিং ক্যাপ তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। উঠে গেলে তো খুবই ভালো। যদিও এসইউসিপন্থী নার্সিং সংগঠন নার্সেস ইউনিটির রাজ্য সম্পাদিকা পার্বতী পাল বলেন, টুপি তুলে নেওয়াটা আমরা সমর্থন করি না। নার্সিং ক্যাপ থাকলে চুল বাঁধা থাকে। যা রোগী পরিষেবার ক্ষেত্রে জরুরি। আর রঙিন পোশাক সমর্থনের তো প্রশ্নই আসে না।
প্রসঙ্গত, কর্মীসংখ্যার দিক থেকে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের সবচেয়ে বড় ক্যাডার হল এই নার্সিং ক্যাডার। সরকারি স্টাফ নার্স, বিভিন্ন নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষা, নার্সিং সুপার, ওয়ার্ড সিস্টার, সিস্টার টিউটর, এএনএম (১) মিলিয়ে মোট সংখ্যা ৫২ হাজার ৪৫০। সেকেন্ড এএনএম বাদ দিয়েই। এই বিপুল সংখ্যক নার্সদের একটা বড় অংশই বেড সাইড নার্স বা স্টাফ নার্স। তাঁদের সংখ্যাই প্রায় ৪০ হাজার ছুঁই ছুঁই। নার্সিং ক্যাপ পরেন তাঁরাই। বর্তমানে স্টাফ নার্সদের পরনে থাকে সাদা সালোয়ার-কামিজ বা সাদা শাড়ি-ব্লাউজ, সাদা অ্যাপ্রন, ক্যাপ, সাদা মোজা, কালো জুতো এবং নেমপ্লেট। বছর দুয়েক আগে থেকে ওয়েস্ট বেঙ্গল নার্সেস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, প্রোগ্রেসিভ নার্সিং অ্যাসোসিয়েশন প্রভৃতি সংগঠন এই ক্যাপ তোলা এবং পোশাক রঙিন করার দাবি জানিয়ে আসছে। রঙিন পোশাক চালু করার দাবির ক্ষেত্রে নার্সদের অনেকের যুক্তি হল, ওয়ার্ডে সাদা পোশাকের নার্সদের উপস্থিতি অসুস্থ মানুষের পক্ষে স্বস্তিদায়ক নয়। বারবার নিজেকে অসুস্থই মনে হয়। তাছাড়া সাদা পোশাক বেশি নোংরা হওয়া সহ আরও যুক্তি রয়েছে তাঁদের। যদিও সেগুলি মোটেই গ্রহণযোগ্য নয় বলেই মনে করছেন শীর্ষ স্বাস্থ্যকর্তারা।