বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
ও হ্যাঁ, এই শহরেই থাকতেন তাঁর স্রষ্টা নারায়ণ দেবনাথ। কিছুকাল আগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। সেই দিক দিয়ে হাওড়া বাঁটুলবাবুর নিজের শহরও বটে। সেই হাওড়ায় আদালতের সামনে তিন মাথার মোড়। সেখানে জ্বলজ্বল করছেন বাঁটুল দি গ্রেট। পরণে আদি অকৃত্রিম গোলাপি শ্যান্ডো গেঞ্জি-কালো হাফ প্যান্ট। বড় বড় চোখ। মুখে হাসি। দিচ্ছেন ভোট দেওয়ার বার্তা। নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে দেশের সরকার বাছাইয়ের কাজে এগিয়ে আসার ডাক দিয়ে চলেছেন প্রিয় বাঁটুল দি গ্রেট। তাঁর গেঞ্জিতে বড় করে লেখা ভোট দেওয়ার বার্তা।
টিভির পর্দা, বা কমিকসের বই, বাঁটুলের কীর্তিকলাপ হাঁ করে গেলে ছোট-বড় সবাই। তাঁর গায়ের জোর সাধারণ ভাষায় কহতব্য নয়। বুদ্ধিও তীক্ষ্ণ। ফলে তাবড় ভিলেন বলে বলে কুপোকাত হয়। আচ্ছা আচ্ছা পালোয়ান ডাকাত সর্দাররা অপরাধ করে হালে পানি পায় না। পুলিসের সঙ্গেও বিরাট দোস্তি বাঁটুলবাবুর। গায়ের জোরে শহরকে রক্ষা করেন। আর মগজাস্ত্রের জোরে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করেন। আজ, শুক্রবার নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করছে জেলা প্রশাসন। ভোট রয়েছে ২০ মে। তার এক মাস আগে থেকেই জায়গায় জায়গায় বাঁটুলের বিশাল কাটআউট। সমাজ মাধ্যমে ঘুরছে বাঁটুল দি গ্রেটের কার্টুন ফিল্ম। যে ফিল্মের প্রধান লক্ষ্যই হল, মানুষের মধ্যে নির্বাচন সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধি।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘খুব শীঘ্রই ম্যাসকটকে নিয়ে প্রচার চালানো হবে। ‘বাঁটুলকেই কেন বেছে নেওয়া হল?’ প্রশ্নের উত্তরে আধিকারিক জানান, প্রথমত বাঁটুল সকলের প্রিয় চরিত্র। এখনকার ছেলেমেয়েরাও বাঁটুল পড়তে ভালোবাসে। আর দ্বিতীয়ত বাঁটুলের সৃষ্টিকর্তা নারায়ণ দেবনাথ হাওড়া জেলার মানুষ। সেই ক্ষেত্রে এই জেলার নির্বাচনী ম্যাসকট বাঁটুলের বিকল্প অন্য কিছু আর হতে পারে না।