বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
শহরের একাধিক বাতিস্তম্ভেও এমন বিজ্ঞাপনের কাঠামো আটকানো থাকে। গত বছর বর্ষায় হরিদেবপুরে একটি ল্যাম্প পোস্টে বিদ্যুৎ সংযোগ হয়ে তড়িদাহত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। সেটিতেও বিজ্ঞাপনের কাঠামো আটকানো ছিল বলে অভিযোগ। এবার রাস্তার বাতি স্তম্ভ ও ট্রাফিক সিগনালের পোস্টে বিজ্ঞাপনের কাঠামো দেওয়ার ক্ষেত্রে রাশ টানতে চায় পুরসভা। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বাতিস্তম্ভ থেকে বিজ্ঞাপনের কাঠামো সরানোর পক্ষে। তবে সবার আগে বাতিস্তম্ভগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে চায় পুর কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত বাতিস্তম্ভগুলির অবস্থা জানতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। তারা পরীক্ষা করে দেখবে। শহরে থাকা বাতিস্তম্ভের সংখ্যা, তার মধ্যে কতগুলিতে বিজ্ঞাপনের কাঠামো আছে তা পুরসভার আলোক বিভাগের কাছে জানতে চেয়েছে বিজ্ঞাপন বিভাগ।
পুরসভার বিজ্ঞাপন বিভাগ সূত্রে খবর, প্রায় সাড়ে চার হাজার লাইটপোস্ট রয়েছে যাতে এমন বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, মেয়র এই ধরনের বিজ্ঞাপন দেওয়ার কাঠামোগুলি খুলে ফেলার পক্ষে। তিনি দুর্ঘটনা ঘটলে প্রাণহানির আশঙ্কা করেছেন। তবে এই ব্যবস্থায় বিজ্ঞাপন বাবদ পুরসভা বছরে তিন কোটি টাকা আয় করে। তাই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়ে সমীক্ষা করানো হবে। এই স্তম্ভগুলি বিজ্ঞাপনের কাঠামোর ভার বহনে সক্ষম কি না তা সমীক্ষায় উঠে আসবে। সেই অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। তিনি জানান, আমাদের কোনও বিজ্ঞাপনের জন্য পোস্ট ভেঙে শর্ট সার্কিট হয়নি বা তড়িদাহত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। পুরসভা জানিয়েছে, পোস্টগুলির সুরক্ষার বিষয়ে কলকাতা পুলিসের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বিজ্ঞাপন বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বলেন, ‘এ বিষয়ে পুলিস কমিশনারকেও জানানো হয়েছে। পুলিসের সঙ্গেও বৈঠকে পোস্ট সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হবে।’