বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বাঙালির ছেলে বেলার সেই ‘উপকরণ’ নিয়ে কেন এই আগ্রহ জেন-নেক্সটের? জবাব হতেই পারে, কোভিড সন্ত্রাসের দু’বছর শেষে মেলা চত্বরে ছুটে-দাপিয়ে বেড়ানো কচি-কাঁচার সংখ্যা এবার অনেকটাই বেশি। আগ্রহের কারণের এই জবাব নির্ভুল হলেও, ঠিক ‘উপযুক্ত’ নয়। তাঁর অমরসৃষ্টিকে মলাটে ভরে যে দু’তিনটি প্রকাশনা সংস্থা খোলা বাজারে নিয়ে এসেছে, তাদের কর্মকর্তার কথায়—আইনি জটিলতা কাটিয়ে হইহই করে বইমেলায় ফিরেছেন নারায়ণ দেবনাথ, সঙ্গে এসেছে তাঁর অঙ্কিত চরিত্রগুলোও। তাই খুদেদের বাড়তি আগ্রহ। তবে শুধু বাঁটুল দা, কেল্টু দা বা বাচ্চু, বিচ্ছুকে নিয়েই আগ্রহ বেড়েছে এমনটা নয়, টিনটিন, রবিনহুড, পোকেমন এমনকী মাস্ক পরা অরণ্যদেবকেও বইমেলার স্থায়ী ঠিকানায় হারিয়ে দিয়েছে রসিকরাজ ‘গোপাল ভাঁড়’ আর সত্যজিতের ‘ফেলুদা’।
বইমেলায় এবার ন’টি গেট। তিন নম্বর গেট দিয়ে মেলায় ঢোকার সময় ডানদিকে, বাইরে যাওয়ার সময় বাঁ হাতে একটা বড়সড় হ্যাঙ্গার। মূলত ইংরেজি বইয়ের কয়েকটি বিখ্যাত প্রকাশনা সংস্থার ঠাঁই সেখানে। মার্ভেলের এনসাইক্লোপিডিয়া যেমন রয়েছে, তেমন রয়েছে অ্যাভেঞ্জার্সদের নানা কীর্তিকলাপ, মবি ডিক, ট্রেজার আইল্যান্ড, ডেভিড কপারফিল্ড এমনকী ভারতীয় কমিকস চম্পক, চাচা চৌধুরি, টুইঙ্কেল ডাইজেস্টও। বিক্রিও ভালো। তবে বাংলা কমিকসের সেই অমোঘ টান যে আজও অব্যাহত, তা জানান দিচ্ছে পার্বনের উঠোন। বইকে উপলক্ষ করে মেলায় ঘুরতে আসা হলেও, পেট পুজো তো থাকবেই। ফুড স্টলগুলোয় উপচে পড়া, হামলে পড়া ভিড় দেখলে মনে হবে শুধুই বোধহয় খাদ্য মেলা চলছে।
খাদ্য অন্বেষণেও মেলার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত হন্যে হয়ে ঘুরছে পেটুক বাঙালি। কিন্তু কীভাবে খোঁজ মিলবে সাধের খাবার? ৬ নম্বর গেট দিয়ে মেলায় ঢুকলে, সামনেই দুর্গা মণ্ডপ, বলা যায় সেলফি জোনও বটে। পরিচিত এক দম্পতির সঙ্গে দেখা হতে জানতে চাওয়া, কোথায় কফি বা চা মিলছে। উত্তর এল, ডানদিক ধরে এগিয়ে যাও। দেখবে ডানদিকে স্পেন, বাঁ’দিকে জাপান, চার ফুটের এক ঢালাই রাস্তা পার করে বাংলাদেশ, ঠিক তার সামনে কফির স্টল, দারুণ বানাচ্ছে, দামটাও বেশি নয়!