বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
প্রসঙ্গত, লিপিকার বাবা অনেকদিন আগেই মারা গিয়েছেন। মা আর জেঠিমার কাছেই মানুষ লিপিকা। এরমধ্যেই তাঁর মা প্রেমের সম্পর্কে জড়ায় সব্জি বিক্রেতা সুজিতের সঙ্গে। এই সম্পর্ককে মেনে নিতে পারেননি মেয়ে। তাঁর আপত্তি আবার সহ্য হয়নি সেই প্রেমিকের। গত বুধবার লিপিকাকে তাঁর মা সর্ষের খেতে কাজ করতে নিয়ে যান। সেই সময় ওই যুবক মেয়েকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা চিৎকার শুনে ছুটে এসে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন লিপিকা। মায়ের প্রেমিকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার পর পালিয়ে যায় সে। পুলিস দু’দিন ধরে সুজিতকে খুঁজলেও তার হদিশ পায়নি। আর যখন পেল, তখন এই অভিযুক্তের শরীর নিথর হয়ে গিয়েছে। তাহলে কি ঘৃণ্য অপরাধের কারণে অনুতাপ থেকে সে আত্মঘাতী হয়েছে, নাকি সমাজে মুখ দেখাতে পারবে না বলে নিজেকে চিরকালের মতো সরিয়ে নিয়েছে, এই প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে গোটা গ্রামে।
মৃত সুজিত বিশ্বাসের ভাই স্মরজিৎ বিশ্বাস বলেন, আমার পরিবারের সঙ্গে ভাইয়ের যোগাযোগ ছিল না। এক বাড়িতে থাকলেও আমি স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে আলাদা থাকতাম। ১২ বছর আগে সুজিতের স্ত্রী মারা যান। তারপর ভাইপো তার পিসির বাড়িতে চলে যায় এবং সেখানে থেকেই পড়াশোনা করে। এর মধ্যেই সুন্দরী মণ্ডল নামের এক মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয় ভাইয়ের। মাঝেমধ্যে ওই মহিলা ভাইয়ের ঘরেও আসতেন।
মৃত সুজিতের ছেলে সুদীপ্ত বিশ্বাস দশম শ্রেণির ছাত্র। তার কথায়, বাবার সঙ্গে ওই মহিলার মেলামেশার ব্যাপারে আমি কিছুই জানতাম না। ওই মহিলার মেয়েকে বাবা খুন করেছে বলে শুনেছি। আমি তিন-চার মাস পরপর কয়েক দিনের জন্য বাবার কাছে যেতাম। তখন ওই মহিলা আমাদের জন্য খাবার পাঠাতেন। কিন্তু তাঁদের কখনও একসঙ্গে দেখিনি। এলাকাবাসীর দাবি, সুন্দরী মণ্ডলের সঙ্গে সুজিতের সম্পর্ক বহুদিনের। দু’জনকে প্রায়ই বিভিন্ন জায়গায় একসঙ্গে দেখা যেত।