বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
বর্তমানে কম খরচে দ্রুত ধান ঘরে তুলতে ব্যবহার করা হচ্ছে ধান কাটার অত্যাধুনিক যন্ত্র। এই যন্ত্রে ধান পাওয়া গেলেও পাওয়া যাচ্ছে না খড়। ছোট ছোট টুকরো হয়ে খড় পড়ে থাকছে মাঠে। কৃষকরা সেই খড় এক জায়গায় জড়ো করে আগুন জ্বালিয়ে দিচ্ছেন। এতে নষ্ট হচ্ছে জমির উর্বরতা শক্তি, অন্যদিকে বাতাসেও ছড়াচ্ছে দূষণ। সরকারিভাবে বারেবারে প্রচার করা হলেও এই বিষয়ে কর্ণপাত করছে না কৃষকরা। কৃষক মাঠে খড় পোড়াতে ব্যস্ততা— রাস্তার দু’পাশে চোখ রাখলেই দেখা যাবে এমন চিত্র। আগুন ধরাতে গিয়ে বহু দুর্ঘটনাও ঘটছে। খড়ের সঙ্গে পুড়ে যাচ্ছে ধান। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকরাই। তবে বেশিরভাগ কৃষক রাতের অন্ধকারে মাঠের খড় পুড়িয়ে দিচ্ছেন। দিনের বেলায় এই কাজ করলে সরকারি কর্তাদের চোখে পড়ার ভয় রয়েছে।
ধনেখালি ব্লকের চৌতারা এলাকায় খড় পোড়াতে ব্যস্ত এক কৃষক গণেশ দলুই (নাম পরিবর্তিত) জানান, সবাই খড় পোড়াচ্ছে, তাই আমিও পোড়াচ্ছি। জানি বিষয়টি ভুল হচ্ছে। তবে সরকার তো কঠোর পদক্ষেপ করছে না, তাই আমরাও একইভাবে চালাচ্ছি। আগে হাতে ধান কাটলে খড় পশুখাদ্য হিসেবেও কাজে লাগতো। বর্তমানে মেশিনে ধান কাটার ফলে গবাদি প্রাণীর জন্যও খড় পাওয়া যাচ্ছে না। মাঠে পুড়িয়ে ফেলতে হচ্ছে খড়। আমাদের সকলের এই বিষয়ে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
তারকেশ্বরের বিধায়ক রামেন্দু সিংহরায় জানিয়েছেন, আমাদের বিধানসভা এলাকার প্রত্যেক গ্রামে সরকারিভাবে প্রচার করা হয়েছে খড় না পোড়ানোর জন্য। কিন্তু কৃষকরা সরকারি নির্দেশ মানছেন না। এতে আগামী দিনে সমস্যার মধ্যে পড়তে পারি আমরা। দিল্লির দূষণের কথা আমাদের সকলের জানা। সকল কৃষকবন্ধুদের কাছে তাই আমার অনুরোধ, সরকারের নির্দেশ মেনে চলুন, খড় মাঠে পোড়াবেন না। মাঠের এক কোণে গর্ত করে খড় জলে ভিজিয়ে সার তৈরি করে তা চাষের কাজে ব্যবহার করুন।
ধনেখালি ব্লকের বিডিও সৌভিক ঘোষ জানান, কৃষকদের সচেতন করতে সরকারিভাবে ব্যানার, পোস্টার ও মাইকে প্রচার করা হয়েছে। স্থানীয় থানার পুলিসকেও বিষয়টি জানানো রয়েছে। তবে বিষয়টি মূলত কৃষিদপ্তর দেখভাল করে।