বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
ব্লক কমিটির সম্পাদক শৈবাল চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘এই ঘটনায় সবাই আতঙ্কে। এএইচ ব্লকে ৩২৬টি প্লট। বাড়ির সংখ্যা ৩০০। সবাইকে জরুরি ভিত্তিতে বৈঠকে ডাকা হয়েছে। সেখানে সিসিটিভি, নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। রোজ রাত পাহারায় বেরনোর পরিকল্পনা করছি আমরা।’ ব্লকের বেশ কয়েকজন বাসিন্দার বক্তব্য, নিজেদের নিরাপত্তা নিজেদেরই যখন করতে হবে, তখন কোনও আপোস করব না। ব্লক কমিটি থেকে জানা গিয়েছে, এএইচ ব্লক দু’ভাগে বিভক্ত। প্রতি ভাগে ছ’টি করে লেন বা গলি। দু’টি পার্ট মিলিয়ে মোট ১২টি গলি। প্রতি গলিতে ও সংযোগকারী রাস্তায় বসানো হবে সিসি ক্যামেরা। ক্যামেরা লাগবে প্রায় ৬০টি। বাজেট ধরা হয়েছে সাত লক্ষ টাকা। আতঙ্ক এতটাই ছড়িয়েছে যে, ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সিসি ক্যামেরা বসানোর তৎপরতা শুরু হয়েছে। সোমবার শেষ রাতে পরপর তিনটি বাড়িতে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। পুলিসের সঙ্গে ডাকাতদের ধস্তাধস্তি। শেষে পুলিসকর্মীদের ক্ষতবিক্ষত করে চম্পট। বন্দুক হাতে টানা দেড়ঘণ্টা অপারেশন চালায় ডাকাতরা। আক্রান্ত বাসিন্দাদের একাংশের ধারণা, সল্টলেককে হাতের তালুর মতো চেনে হানাদাররা। আর এ এইচ ব্লকের অলিগলি তাদের নখদর্পণে।
অঙ্কের বইয়ের লেখক প্রণবেশ জানা থাকেন এই ব্লকেরই ১৯৩ নম্বর বাড়িতে। তাঁর বাড়ির একতলায় ডাকাতরা তাণ্ডব চালিয়েছে। এই বাড়ির নীচেই পুলিসকে ঘায়েল করে পালায় দুষ্কৃতীরা। প্রণবেশবাবু জানান, গত চারমাসে তিনবার হানা দিল ডাকাতরা। নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন। তাঁর উল্টোদিকের বাড়ির বাসিন্দা সুমিত গোস্বামী জানিয়েছেন, দেড় বছর আগে তাঁদের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে আত্মীয় পরিচয়ে দুষ্কৃতীরা ঢোকে। তারা বাড়ির যাবতীয় জিনিসপত্র প্যাকিং পর্যন্ত করে ফেলেছিল। তিনি চলে আসায় তারা পালিয়ে যায়। সোমবার ভোরের ঘটনার সঙ্গে সেই দুষ্কৃতী হামলার যোগ থাকলেও থাকতে পারে বলে মনে করছেন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার এই ডিরেক্টর। বন্দুক হাতে পরপর তিনটি বাড়িতে হানা দেওয়া ডাকাতদের এখনও ধরতে পারেনি পুলিস। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। আর পুলিসি নজরদারি বাড়ানোর দাবির পাশাপাশি নিজেদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিজেরাই করে নিচ্ছে এএইচ ব্লক।