বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
জিএসটিকে কার্যকর করতে রাজ্যগুলি তাদের ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে কর আদায়ের অধিকার কেন্দ্রের হাতে তুলে দিয়েছে। অথচ রাজ্যগুলির কথা শোনা হচ্ছে না। নিয়মের তোয়াক্কা করা হচ্ছে না, অভিযোগ অমিতবাবুর। তিনি বলেন, তিন মাস অন্তর জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত অক্টোবর থেকে সাত মাস হয়ে গেল, সেই বৈঠক হল না। জিএসটি লাগু করার বিষয়ে যে কমিটি আছে, তাদের শুধু নিয়ম কার্যকর করার পদ্ধতি তৈরি করার কথা। অথচ একগুচ্ছ বিধি তারা সংশোধন করেছে, যা শুধু জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে জানানো হয়েছে মাত্র। এছাড়া ‘ফিটমেন্ট’ কমিটি তৈরি হয়েছিল জিএসটি’র হার পরিবর্তন করার ব্যাপারে। তারা একযোগে এত বেশি সংখ্যক পণ্য ও পরিষেবার জিএসটি’র হার পরিবর্তন করল এবং এত অল্প সময়ের জন্য তা কাউন্সিলের সদস্যদের দেখতে দেওয়া হল, যা কারও পক্ষে মনযোগ দিয়ে দেখা সম্ভব নয়।
পশ্চিমবঙ্গ সহ ন’টি রাজ্যের দাবি ছিল, করোনার চিকিৎসা সংক্রান্ত সরঞ্জাম বা পরিষেবার ক্ষেত্রে জিএসটি’র হার শূন্যে নামানো হোক। কিন্তু তা শোনেনি কেন্দ্র। সেক্ষেত্রে যুক্তি ছিল, নতুন করে অর্ডিন্যান্স আনতে হবে। বিকল্প পথ হিসেবে বলা হয়, জিএসটি’র হার ০.১ শতাংশে নামানো হোক। তাহলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলেই হবে, অর্ডিন্যান্সের দরকার নেই। কিন্তু তাতেও কর্ণপাত করেনি সরকার, দাবি অমিত মিত্রের। তিনি বলেন, কেন্দ্রের যুক্তি, এতে নাকি ব্যবসায়ীরা তাদের প্রাপ্য ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট পাবে না। ফলে তারা পণ্যের দাম কমাবে না। ক্রেতাদের উপরেই দামের ভার চাপবে। কিন্তু তা বাস্তবসম্মত নয়, এমনটাই বলেন অমিতবাবু। এমনকী এই বিষয়ে রাজ্যগুলিকে সরাসরি জবাব না দিয়ে ট্যুইট করে ক্ষান্ত হয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সরকার যদি তাঁদের কথা শুনত, তাহলে অ্যাম্বুল্যান্স বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার থেকে শুরু করে যাবতীয় করোনা-পণ্যের দাম কমে যেত। কিন্তু তার জন্য সরকারের বিরাট অঙ্কের রাজস্ব ক্ষতি হতো না। কারণ এসবের বাইরেও হাজারো পণ্য ও পরিষেবা রয়েছে, যা সরকারকে রাজস্বের জোগান দেয়, দাবি অমিতবাবুর।
কেন্দ্রীয় সরকার গত আর্থিক বছরে যে টাকা জিএসটি থেকে রাজস্ব ঘাটতি বাবদ ক্ষতিপূরণ দিয়েছে, তার থেকে আরও ৬৩ হাজার কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ রাজ্যগুলিকে দেওয়ার কথা, এমনটাই জানিয়েছেন এরাজ্যের অর্থমন্ত্রী। তাঁর কথায়, সাত শতাংশ রাজস্ব বৃদ্ধি হবে ধরে নিয়ে যে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক কষা হয়েছিল, বাস্তবের সঙ্গে তার অনেক ফারাক। কারণ গত অর্থবর্ষে রাজস্ব হ্রাস পেয়েছে তিন শতাংশ। তাই রাজ্যগুলির ওই বাড়তি ক্ষতিপূরণ পাওনা হয়। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে তা ৪ হাজার ৯১১ কোটি টাকা। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে ধার নিয়ে সেই টাকা রাজ্যগুলিকে দিক কেন্দ্র, এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন অমিতবাবু। কিন্তু সেই চিঠির জবাব পর্যন্ত দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। এমনকী সাম্প্রতিক জিএসটি বৈঠকে তাঁকে বলতে না দেওয়ার যে অভিযোগ উঠছে, প্রয়োজনে তারও তদন্ত করা হোক, মত অমিত মিত্রের।