বিদ্যা ও কর্মে উন্নতির যুগ অর্থকরি দিকটি কমবেশি শুভ। মানসিক চঞ্চলতা ও অস্থিরতা থাকবে। স্বাস্থ্যের ... বিশদ
সোমবার দুপুরে চুঁচুড়ার কাপাসডাঙায় একটি প্রাথমিক স্কুলের পাশের মাঠে মহিলাদের জমায়েত শুরু হয়েছিল। নারী দিবসের দিন এমন চিত্র খুব স্বাভাবিক বলে অনেকেই বিশেষ নজর করেননি। কিন্তু তারপর একে একে দুর্গামূর্তি, পুজোর উপাচারের আয়োজন একটি পৃথক কিছুর ইঙ্গিত দিতে শুরু করে। একদল মহিলা শাঁখে, উলুতে যখন প্রার্থনা শুরু করলেন তখন বিষয়টি নজরে আসে অন্যদের। একদল মহিলার এই উদ্যোগ ঘিরে রাজনৈতিক মহলেও গুঞ্জন ছড়িয়েছে। বলা বাহুল্য, ওসব তৃণমূলের ‘তৈরি করা’ বলেই সামগ্রিকভাবে বিরোধীরা দাবি করেছে। ওই বিশেষ প্রার্থনার অন্যতম উদ্যোক্তা স্থানীয় গৃহবধূ মণিদীপা সরকার। তিনি তৃণমূলের সমর্থক। ওই গৃহবধূ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকৃত অর্থেই মেয়েদের মর্যাদা দিয়েছেন, সমাজে গুরুত্ব বাড়িয়েছেন। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে মেয়েদের নামেই কার্ড করা হচ্ছে। কিশোরীদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্প চালু করেছেন। মেয়েদের জন্য গালভরা প্রতিশ্রুতির বদলে যিনি কাজ করে দেখিয়েছেন, তাঁর জন্য প্রার্থনা করাই তো স্বাভাবিক। শাসকদলের প্রতি মণিদীপাদেবীর দুর্বলতা থাকলেও রাজনীতির সঙ্গে যোগ নেই মণিকা টিকাদারের। বছর দেড়েক আগে স্বামীহারা ওই মধ্যবয়সি মহিলা এদিনের প্রার্থনায় অংশ নিয়েছিলেন। তিনি একটি চায়ের দোকান চালান। কিছুদিন আগে তাঁর দোকানে চা খেয়ে গিয়েছেন বিজেপির মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। মণিকাদেবী বলেন, বিশেষ কিছু বুঝি না, বুঝতে চাইও না। শুধু এটুকু বুঝি, একজন মহিলা রাজ্যের হাল ধরেছেন পরিবারের মতো। সেখানে সকলেই গুরুত্ব পাচ্ছে। মহিলারাও সম্মান পাচ্ছেন। তাই আমিও প্রার্থনায় যোগ দিয়েছি। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্যনেতা স্বপন পাল বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে আমিও বিশ্বাস করি। নারীদের শ্রদ্ধা করি। কিন্তু এসব নিখাদ নজর কাড়তেই তৃণমূল এই উদ্যোগ নিয়েছে। তৃণমূল নেত্রী অসীমা পাত্র বলেন, ওই মহিলারা বিজেপি নেতার পুজো করলে সমস্যা হতো না। তাছাড়া দুর্গা তো বিজেপির অপছন্দের দেবী। এসব বিতর্কে অবশ্য কান দিতে চান না কাপাসডাঙার ওই মহিলারা। তাঁরা শুধু বলছেন, মেয়েদের অনুভূতির মূল্যায়ন মা দুর্গাই করবেন। এবং ‘মমতা’র সঙ্গেই করবেন।